Hooghly: ফের মোবাইল ফোনে কথা বলতে গিয়ে রেললাইন পার করতে গিয়ে ট্রেনে চাপা পড়ে মৃত্যু। শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় মারা গিয়েছে দুই ছাত্র। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হুগলির রিষড়া এলাকার ঘটনা। এই ঘটনা ফের একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
পরীক্ষা শেষের আনন্দে আড্ডা
পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনন্দে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়েছিল। তবে আর বাড়ি ফেরা হল না। ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই পডুয়ারা। অভিযোগ, রেললাইন পার করার সময় তারা মোবাইল ফোনে কথা বলছিল।
আরও পড়ুন: তুলাইপাঞ্জি আর বাঁশকাঠি চালে ধামাকা অফার দিচ্ছে রাজ্য, মিলবে Whatsapp-এ
মোবাইলে কথা
মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে রেললাইন পার করার সময় ট্রেন থেকে কাটা পড়ে বলি সিবিএসই-এর বোর্ড পরীক্ষা দেওয়া ২ মেধাবী ছাত্র। ঘটনাটি ঘটেছে রিষড়া ক্যওন্টের হাউসিং প্রজেক্ট এলাকায় এলাকায়।
আরও পড়ুন: গোলাপী বিকিনিতে সি বিচে উষ্ণতা ছড়ালেন TV অভিনেত্রী
জিআরপি সূত্র এবং রিষড়া পুরসভার প্রশাসক জানান, দুই ছাত্রের নাম রেহান লাঠি এবং কৌস্তভ দাশগুপ্ত। দু'জনের বয়স আনুমানিক ১৮ বছর। দুই তরুণ তুর্কি মেধাবী ছাত্র শুক্রবার রাতে সিবিএসসি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা শেষ হওয়ার খুশিতে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে বেরিয়েছিল।
আরও পড়ুন: দু'হাতে কোনও ক্রমে ঢাকার চেষ্টা! পুনমের বোল্ড TOPLESS ছবি ভাইরাল
ট্রেনের ধাক্কা
তারা রিষড়া বাঙ্গুর পার্ক থেকে আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। বাড়ি ফেরার সময় তাদের রাস্তা পথে রেললাইন আছে। সেই রেল লাইনটি দুই ছাত্র মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে পার করছিল বলে অভিযোগ। আর সে সময় দ্রুতগতিতে ছুটে আসার ট্রেন প্রথমে রেহানকে ধাক্কা মারে।
আরও পড়ুন: রেললাইনে দু'পা হারিয়ে এখন হুইলচেয়ারে ঘুরছে সারমেয় 'হলু', ছবি VIRAL!
সে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে। সেখানেই তার মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। রেহানকে ধাক্কা মারা পড়ে যখন কৌস্তভ কিছু বুঝতে পারারা আগেই ট্রেনটি তাকেও ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: টানা ১৪ ঘণ্টা ঘুম লোকো পাইলটের, চুঁচুড়ায় পুলিশ এসে ভাঙল তালা
শোকের ছায়া এলাকায়
ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া। ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান রিষড়া পুরসভার প্রশাসক বিজয় সাগর মিত্র। ওখান থেকে উনি মারা যাওয়া দুই ছাত্র বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের কে সান্তনা দেন।
জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্র রেহানের বাবা কলকাতার বড়বাজারে পাপড় ব্যবসায়ী। আর কৌস্তভের বাবা রিষড়া পুরসভার কর্মী।