লক্ষ্য ছিল ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। তবে তাদের বিরুদ্ধেই পাল্টা অভিযোগ উঠল জোরজুলুমের। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)-এর কানপুর (Kanpur)-এর ঘটনা। অভিযুক্ত বজরং দল (Bajrang Dal)। তাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
কী হয়েছিল?
প্রতিবাদ করতে গিয়ে আইনশৃঙ্খলা নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে বজরং দল (Bajrang Dal)। এমনই অভিযোগ। উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)-এর কানপুর (Kanpur)-এ তারা এক যুবককে মারধর করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ
কানপুরের বর্রার ঘটনা
জানা গিয়েছে, কানপুরের বর্রা এলাকার ঘটনা। সেখানে থাকেন রানি নামে এক দলিত মহিলা। তাঁর অভিযোগ, তাঁর প্রতিবেশি এক মুসলিম যুবক তাঁর ধর্ম পরিবর্তন করাতে চেয়েছেন। ওই যুবকের নাম অপ্তার আহমেদ। আর সে জন্য তাঁকে ২০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়েছে।
অভিযোগ দায়ের
ওই মহিলা বর্রা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনা সম্পর্কে অভিযোগ পেয়েও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এরপর বজরং দলের কাছে
পুলিশ কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ওই মহিলা প্রথমে যান বজরং দল (Bajrang Dal)-এর কর্মীদের কাছে। আর তাঁদের কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগ, এমন কথা জানতে পেরেই তারা ওই যুবকের বাড়িতে হামলা চালায়। বজরং দলের কর্মীরা জোর করে ওই যুবকের ঘরে ঢুকে পড়ে।
এবং তাকে ঘর থেকে বের করে আনে। শুরু হয় মারধর। তাকে মারতে মারতে আনা হয় রাস্তায়। আর জোর করে 'জয় শ্রীরাম' (Jay Shree Ram) ধ্বনি দেওয়ায়। তখন সেখানে ছিল পুলিশ। তবে তারা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। গোটা ঘটনা তারা দাঁড়িয়ে দেখেছে বলে অভিযোগ।
মারধর করে পুলিশের হাতে
বজরং দল (Bajrang Dal)-এর কর্মীরা ওই যুবককে মারধর করে তুলে দেয় পুলিশের হাতে। এমনই অভিযোগ। পুলিশ তাকে নিয়ে আসে থানায়। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। বজরং দল (Bajrang Dal)-এর দাবি, তারা দু'দিন আগেই পুলিশকে এ ব্য়াপারে জানিয়েছিল। তবে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। আর তাই তারাই ব্যবস্থা নিয়েছে।