Ramkrishna Dev Janmo Tithi Celebration: মহা সমারোহে ঠাকুর শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ১৮৭তম জন্মতিথি পালিত হচ্ছে বেলুড় মঠে। এই উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে মঠ প্রাঙ্গনে। তাঁর জন্মস্থান হুগলির কামারপুকুরেও পালন করা হয়। এই উপলক্ষে সেখানে হাজারো ভক্তের ঢল
ভোর সাড়ে চারটের সময়ে শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরে মঙ্গলারতির মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। ভোর চারটে চল্লিশে শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দিরের নাটমন্দিরে সন্ন্যাসীরা বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে শ্রীরামকৃষ্ণের আরাধনা করেন।
সারাদিন ধরে বিভিন্ন রকমের অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এদিন শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মতিথি পালিত হবে বেলুড় মঠে।
যেমন ভক্তিগীতি, স্তবপাঠ, আলোচনা। গত বছরে কোভিড পরিস্থিতিতে মঠে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ ছিল।
তবে এই বছরে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকায় এদিন সকাল সাড়ে ৬টা থেকে মঠের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য।
বেলুড় মঠের যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেখান পডুয়ারা শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলন। বেলুড় মঠ চত্বরে শোভাযাত্রা পরিক্রমা করে।
ভবানীপুর থেকে এসেছিলেন অঞ্জনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এ তো আনন্দের দিন। চারিদিকে আনন্দ মেতে আছে। মহাতীর্থ এখানে। এই মহাতার্থী এসে আমরা ধন্য। জন্মজন্মান্তেরর সব কিছু পেয়েছি এখানে। আর কিছু চাওয়ার নেই। ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। যাঁরা নিত্য আসেন, তাঁরা জানেন কী পাওয়া যায়। ঠাকুর কৃপা করছেন তাই প্রসাদ পাচ্ছি। ঠাকুর দর্শন হয়েছে।"
হাওড়ার কদমতলা থেকে এসেছিলেন তিয়াসা। তিনি বলেন, "খুব ভাল লাগছে। এত স্নিগ্ধ পরিবেশ, মন ভাল হয়ে যায়। এলাম, দর্শন করলাম।"
সূচনা সিংহরায় নামে আর এক ভক্ত বলেন, "বৃহস্পতিবার এসেছিলাম। আজও এলাম। আজ বিশেষ দিন, শুভ দিন রামকৃষ্ণভক্তমণ্ডলীর কাছে। সময়ের সঙ্গে ভিড় বাড়বে। সকালে আলাদা পরিবেশ থাকে। বেলুড় মঠের ব্যবস্থা নিয়ে তো কখনও বলার থাকে না। সব সময় ঠিক থাকে। সব ভক্ত নিয়ম মেনে চলেন। প্রত্য়েক বছরই হয়ে আছে। বাড়িতেও পুজো আছে।"