Sankha Benefits: পুজোয় শঙ্খ বাজানোর প্রচলন যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। দেশের অনেক জায়গায় মানুষ পুজোর ঘরে শঙ্খ রাখেন এবং নিয়মিত বাজান। তাই কৌতূহল হওয়া খুবই স্বাভাবিক যে শঙ্খ শুধুমাত্র পুজোয় কাজে লাগে, নাকি অন্য উপকারও হয়? শঙ্খ বাড়িতে রাখা, বাজানো এবং এর জল সঠিকভাবে ব্যবহার করলে অনেক উপকার পাওয়া যায়।
১. মনে করা হয় যে বাড়িতে শঙ্খ থাকে, সেখানে লক্ষ্মী বাস করেন। ধর্মীয় গ্রন্থে শঙ্খকে লক্ষ্মীর ভাই বলে বর্ণনা করা হয়েছে। কারণ লক্ষ্মীর মতো শঙ্খেরও উৎপত্তি সাগর থেকে। সমুদ্র মন্থন থেকে যে চৌদ্দটি রত্ন বের হয়েছি, তার মধ্যে শঙ্খকে গণনা করা হয়।
২. শঙ্খকে শুভ বলে মনে করা হয়। কারণ দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণু উভয়েই এটি তাঁদের হাতে ধরে রাখেন।
৩. পুজোয় শঙ্খ বাজালে পরিবেশ পবিত্র হয়। এর আওয়াজ যতদূর যায়, এটি শুনলে মানুষের মনে ইতিবাচক চিন্তার সৃষ্টি হয়। ভাল চিন্তার ফলও স্বাভাবিকভাবেই ভালই হয়।
৪. শঙ্খের জলে শিব, লক্ষ্মী প্রভৃতি অভিষিক্ত করলে ভগবান প্রসন্ন হন এবং তাঁর কৃপা লাভ হয়।
৫. ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে বলা হয়েছে যে শঙ্খে জল রাখলে এবং তা ছিটিয়ে পরিবেশকে বিশুদ্ধ করে।
আরও পড়ুন: 'কে কী বলল, তাতে কিছু যায়-আসে না,' সোজাসাপ্টা রোহিত শর্মা
আরও পড়ুন: 'আপনার ব্রা কোথায়?' Esha Gupta-কে প্রশ্ন নেট-নাগরিকদের
আরও পড়ুন: ফের Urfi Javed, এবার হলুদ রঙের ব্রা-র সঙ্গে মানানসই ব্য়াগ, সঙ্গে গোয়ার গয়না
৬. শঙ্খের ধ্বনি মানুষকে পুজো করতে উদ্বুদ্ধ করে। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে শঙ্খ পুজো করলে মনস্কামনা পূরণ হয়। এ কারণে অশুভ আত্মারা কাছে যায় না।
৭. বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে শঙ্খের শব্দে পরিবেশে উপস্থিত বহু ধরনের ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। অনেক পরীক্ষা একই রকম ফলাফল পাওয়া গিয়েছে।
৮. আয়ুর্বেদ অনুসারে, অনেক ধরনের রোগ যেমন পেটের রোগ, স্টোন, জন্ডিস ইত্যাদি শঙ্খের ভস্মের ব্যবহারে নিরাময় হয়। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই এটি ব্যবহার করা উচিত।
৯. শঙ্খ ফুঁকলে ফুসফুসের ব্যায়াম হয়। পুরাণে উল্লেখ আছে যে শ্বাস-প্রশ্বাসের রোগী যদি নিয়মিত শঙ্খ বাজান, তবে তিনি রোগ থেকে মুক্ত হতে পারে।
১০. শঙ্খেয় রাখা জল খেলে হাড় মজবুত হয়। এটি দাঁতের জন্যও উপকারী। শাঁখায় থাকা ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও সালফারের গুণের কারণে এটি উপকারী।
১১. বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, শঙ্খের মধ্যে এমন অনেক গুণ রয়েছে, যার কারণে ঘরে ইতিবাচক শক্তি আসে। শঙ্খের শব্দে 'নিদ্রাভূমি' জেগে ওঠে এবং শুভ ফল দেয়।