AAP Padarpan Yatra Kolkata: পঞ্জাব বিধানসভা ভোট (Punjab Assembly Elections 2022) ফাটাফাটি ফল করেছে আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) বা আপ (AAP)। সেখানে কংগ্রেস (Congress), বিজেপি (BJP), শিরোমণি অকালি দল (SAD)-এর মতো পার্টিকে দরমুশ করেছে তারা। এই ফলাফলে উজ্জ্বীবিত আপ (AAP)-এর বাংলার নেতা-কর্মীরা।
নয়া উদ্দীপনায়
তাঁরা নয়া উদ্যমে নেমে পড়েছেন সংগঠন গোছাতে। আর সেই লক্ষ্য়ে কাল, রবিবার কর্মসূচি নিতে চলেছে তারা। কলকাতায় মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। কলকাতার গিরিশ পার্ক থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করা হবে। নাম 'পদার্পণ যাত্রা'। সেখান থেকে যেমন পঞ্জাব বিধানসভা ভোট দলের জয় উদযাপন করা হবে, তেমনই দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের ডাক দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ভুল করেও পেঁপে খাওয়া উচিত নয় এঁদের, হতে পারে বড়সড় ক্ষতি
এবার লক্ষ্য বাংলা
এবার পঞ্জাব বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণার দিনই আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) জানিয়ে দিয়েছিল তাদের এর পরের লক্ষ্য বাংলা। দিল্লিতে প্রথম বার রাজ্য সরকার তৈরির পর তাঁরা বাংলায় সংগঠন তৈরির কাজে নেমেছিলেন। কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছোট ছোট জমায়েত করে সদস্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিলে বেশ সাড়াও ফেলেছিল তারা। তবে মাঝে যেন সেই কাজে ভাঁটা পড়েছে।
পঞ্জাব থেকে বাড়তি রসদ
তবে পঞ্জাব এবার যেন বাড়তি অক্সিজেন দিয়েছে। সেখানে বিধানসভা ভোট (Punjab Assembly Elections 2022)-এ আপের জয় নিয়ে অনেকেই আশাবাদী ছিলেন। তবে তা এক বড়সড় ব্যবধানে, তা ভাবা যায়নি। পঞ্জাব ভোট (Punjab Assembly Elections 2022)-এর ফল প্রকাশের পর দেখা গিয়েছে বাংলার বিভিন্ন অংশে আপের কর্মী-সমর্থকেরা যেন নয়া তাগিদ পেয়েছেন।
তাঁরা নেমে পড়েছেন মাঠে। দলের জয়ের উৎসবে তো মেতেইছেন, এর পাশাপাশি সংগঠন গোছানোর কাজও শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রান্তে পোস্টার লাগানোর কাজ করেছেন তাঁরা।
দলের রাজ্য নেতারা যা বলছেন
শনিবার দলের হাওড়া জেলার সভাপতি, অন্যতম মুখপাত্র অর্ণব মৈত্র বলেন, ওই কর্মসূচি আমাদের বিজয় উৎসব। ৮০ শতাংশের বেশি আসন পেয়ে পঞ্জাবে দল জিতেছে। তাই পদার্পণ যাত্রা হবে। ২০২৩-এর পঞ্চায়েতের লড়াইয়ের শুরু। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য নামছি।
পদার্পণ কেন? দলে তো বেশ কয়েক বছর ধরে এখানে কাজ করছে। এ ব্য়াপারে তিনি জানান, তাঁদের দল নবীন ছিল। মানুষের টাকায় দল চলে। সেটাকে বৃহত্তর জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য পদার্পণ যাত্রা। তাঁর দাবি, এখন সবাইকে বলা যায়, কাজ করতে পারি। এখন প্রতিশ্রুতি দিই না। গ্য়ারান্টি দিই।
এখন রাজ্য়ে ১৬-১৭টি জেলায় তাঁদের কমিটি রয়েছে। বাকিগুলো তাড়াতাড়ি গুছিয়ে ফেলা হবে। কোন দাবিতে এ রাজ্যে নামছে দল? তিনি জানান, দুর্নীতি আর মেনে নেওয়া না। মাথা ঠিক থাকলে সব ঠিক থাকবে। স্বাধীনতার এত বছর পর স্বাস্থ্য-শিক্ষা নিয়ে কাজ করতে পারত ওই দলগুলো। তবে তারা তো করতে পারেনি। তাই মানুষকে বলব, আপনারা যুক্ত হন। রাজ্য়ে দর্নীতি পেশেদারি জায়গায় চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।