Papaya Side Effects: পেঁপে অত্যন্ত উপকারি একটি সবজি। বাজারে খুব সহজেই তা পাওয়া যায়। প্রচুর গুণ রয়েছে এর মধ্যে। এতে পাওয়া যায় ফাইবার, মিনারেল বা খনিজ পদার্থ, ভিটমিন সি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-সহ আরও অনেক দরকারি জিনিস।
ওজন কমানো থেকে শুরু করে শরীরকে চাঙ্গা রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়। তাই এক খুব উপকারী বলে মানা হয়। হার্টের রোগ, ডায়াবিটিস, ক্যান্সার, ব্লাড প্রেশারের সমস্যা দূর করে। তবে এটি সবার জন্য নয়। বলছেন বিশেষজ্ঞরা। সে ব্যাপারে জেনে নিই।
আরও পড়ুন: গাজরের এই ৬ জবরদস্ত ফায়দা জানলে রোজ খাবেন, দেখুন...
গর্ভবতী মহিলা
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, গর্ভবতী মহিলাদের পেঁপে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়। এতে থাকে ল্যাটেক্স এবং পেপিন। যা গর্ভাশয়কে সঙ্কুচিত করে। আর তাই লেবার পেইন সময়ের আগেই শুরু হয়ে যায়। এটি ভ্রূনকে সাহায্যকারী ঝিল্লিকেও দুর্বল করে দেয়। বেশি পাঁকা পেপে খেলে এই সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য বিপজ্জনক, এই ১০ ঘরোয়া উপায়েই মুশকিল আসান
অনিয়মিত হৃদস্পন্দন যাঁদের
এটা ঠিক কথা পেঁপে খেলে হার্টের রোগ কমে। তবে অন্য ঝক্কিও রয়েছে। আপনার হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হলে পেঁপে আপনার শরীর্র জন্য ক্ষতিকারী। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, পেঁপেতে থাকে সাইনোজেনিক গ্লাইকোসাইড। এই অ্যামিনো অ্যাসিড পাচনতন্ত্রে হাইড্রোজেন সায়ানাইড বতে পারে। বেশি পেঁপে খেলে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন যাঁদের, তাঁদের সমস্যা হতে পারে।
আরও পড়ুন: PWD ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে জলের বদলে বেরোচ্ছে টাকা! মাথায় হাত দুর্নীতি দমন শাখার
অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে
লেটেক্স অ্যালার্জি পীড়িত মানুষদের পেঁপে থেকে অ্যালার্জি হতে পারে। কারণ পেঁপেতে থাকে চিটিনাসেস নামের এনজাইম। এই এনজাইম শরীরে ক্রস-রিঅ্যাকশন তৈরি করতে পারে। হাঁচি, শ্বাস নিতে সমস্য়া, কাশি এবং চোখে জল চলে আসার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ হচ্ছে? আশঙ্কায় দর পড়ছে, শুরু নগদে ভাঙানোর হিড়িক
কিডনি স্টোন রয়েছে যাঁদের
পেঁপেতে ভিটামিন সি থাকে প্রচুর পরিমাণে। এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। যা কিডনি স্টোন বাড়ানোর কাজে সাহায্য। ফলে তৈরি হতে পারে সমস্যা। ভিটামিন সি বেশি খেলে তৈরি হতে পারে ক্যালশিয়াম অক্সালেট। যা কিডনিতে স্টোন তৈরি করে।
আরও পড়ুন: বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের সেই 'হিরো' অভিনন্দনকে বীরচক্র
হাইপারগ্লাইসিমিয়া রয়েছে এমন মানুষ
ডায়াবিটিস রয়েছে, এমন মানুষদের জন্য পেঁপে খুব কাজের বলে মানা হয়। এটা ব্লাড শুগারও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে যাঁদের হাইপারগ্লাইসিমিয়ার সমস্যা রয়েছে, মানে যাঁদের ব্লাড সুগার কম, তাঁদের এটি খাওয়া উচিত নয়। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি-হাইপারগ্লাইসেমিক উপাদান। যা গ্লুকোজকে কমিয়ে দিতে পারে।