Ayurvedic Remedies in Winter: শীতকালে ঠান্ডা লেগে যাওয়া, কাশি হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। তবে ঘটনা হল ঘরোয়া কিছু উপায়ে শরীরকে চাঙ্গা রাখা যায় দিব্যি। খুব সহজেই এগুলো পাওয়া যায় বা বাড়িতেও বানিয়ে নেওয়া যায়। এমনই জানাচ্ছেন আয়ুর্বেদ চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ হচ্ছে? আশঙ্কায় দর পড়ছে, শুরু নগদে ভাঙানোর হিড়িক
হুগলির পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের সিনিয়র আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসার চান্দ্রেয়ী রায় জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠেই ঈষৎদুষ্ণ গরমজলে ২-৩টি লবঙ্গ ফেলে ১০ মিনিট রেখে ওই গরম জল ১-২ গ্লাস মাত্রায় খলি পেটে পান করতে উপকার পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের সেই 'হিরো' অভিনন্দনকে বীরচক্র
হালকা সর্দি কাশিতে
পিপুল ফল, বামুনহাটি পাতা,কাঁকড়া শৃঙ্গীর ফল এবং মুথার কল্ক তৈরি করে গুড়-সহ চেটে খেলে এলার্জিক কাশিতে পরম ওষুধ।
আরও পড়ুন: Urfi থেকে Sanjida পোশাকের জন্য ট্রোলড হয়েছেন এই টেলিসুন্দরীরা
করোনা কালে হলদি দুধ বা গোল্ডেন মিল্ক নামটির সঙ্গে সবাই সুপরিচিত হয়েছি। এই হলুদ গুঁড়ো মিশ্রিত দুধ ১ চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে সকালে বা সন্ধেয় এক গ্লাস করে খেলে নাক ও চোখ থেকে জল ঝরা, সর্দির জন্য মাথা ভার হওয়া ইত্যাদি দ্রুত উপশম হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘের হানা, নৌকা থেকে ঠেলে ফেলে বাঁচলেন মৎস্যজীবী
তিনি জানান, আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে হরিদ্রা খন্ড নামে একটি প্রাচীন ওষুধ সমস্ত সরকারি আয়ুর্বেদিক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি থেকে দেওয়া হয়।
শিশু থেকে শুরু করে প্রবীণ- সকলকে হাঁচি কাশির ও অ্যালার্জির সমস্যায় উপশম দেওয়ার জন্য তা দেওয়া হয়।
হরিতকি, বহেরা, পিপুল ফল, কিসমিস- এদের চূর্ণ এক চামচ ঘি অথবা মধু দিয়ে চেটে খেলে শীতের সকালগুলোতে যারা শ্বাসকষ্ট ও শুকনো কাশিতে ভোগেন, যথেষ্ট উপকার পাবেন। জানাচ্ছেন তিনি।
নাসারন্ধ্র বা নাকের ফুটোয় প্রতিদিন সকালে ৩-৫ ফোটা (১-২ ফোটা) তিল তেল/ওষধি যুক্ত তেল যেমন অনু তেল নিয়মিত ব্যবহারে সংক্রমণের ভয় কমে।
শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জিক অ্যাস্থমা
শীতকালে ভোরের দিকে অনেকেরই শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জিক আস্থমার প্রকোপ বাড়ে। সে ক্ষেত্রে গুরুচি, শুঠ (শুকনো আদার কন্দ) বামুনহাটি, কন্টিকারী ও তুলসি এই ৫ টি অত্যন্ত সহজলভ্য ও সুপরিচিত গাছের পাতার ক্কাথ করতে হবে।
এক চিমটে পিপুল গুঁড়ো ওপর থেকে ছড়িয়ে সকাল-বিকেল এক কাপ করে নিয়মিত শীতকাল এর গোড়ার দিকে ১৫-২০ দিন খাওয়া যায়। এই সমস্যায় যারা ভোগেন, অনেকটাই উপকার পেতে পারেন।
হরতকি, যবক্ষার, শুঁট ও মরিচ সমপরিমান মাত্রায় বেটে রেখে দিয়ে ওই বাটা সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে শুকনো কাশির উপশম হয়।
তিনি জানান, এ ছাড়া বেশ কিছু শাস্ত্রীয় ওষুধ যা পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত জেলার সরকারি আয়ুর্বেদ হাসপাতাল ও আয়ুর্বেদ সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
যেমন তালিসাদি চূর্ণ, শৃঙ্গাদি চূর্ণ, শীতপলাদি চূর্ণ, লক্ষীবিলাস রস, মৃত্যুঞ্জয় রস, ত্রিভুবন কীর্তি রস, কফকেতু রস, চন্দ্রামৃত রস ইত্যাদি নানা বটি বা গুলিকা ১২৫-২৫০ মিলিগ্রাম মাত্রায় নির্মিত হয়।