Hair Fall: ঘন, কালো চুল কে-ই না পছন্দ করে! তবে আমাদের কিছু ভুলের জন্য খেসারত দিতে হয় চুলকে। হয় চুল ঝরে যায় বা অকালে সাদা হয়ে যায়। নিজেদের অভ্য়াসে সামান্য বদল আনতে পারলেই সেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়। চুলের সমস্যা প্রতিরোধে আয়ুর্বেদ অত্য়ন্ত কাজে লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: তিনি ছেলে না মেয়ে, জানেই না দল, বিস্ফোরক অভিযোগ BJP প্রার্থীর
আরও পড়ুন: দলের বৈঠকে গরহাজির কেন? নুসরত-মিমিকে শোকজ TMC-র
কী বলছে আয়ুর্বেদ
মালদার মানিকচক আয়ুর্বেদ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ বিশ্বজিৎ ঘোষ এ ব্যাপারে জানাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, "আয়ুর্বেদে চুলের নানাবিধ সমস্যার সমাধান হিসেবে নিয়মিত তেল মাখাকে সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং তার ফলাফল হিসেবে বলা হয়েছে যে, "ন খালিত্যং ন পালিত্যং ন কেশা প্রপন্ততি" অর্থাৎ নিয়মিত তেল ব্যবহারে একদিকে যেমন চুল ঝরে পড়ে না, অন্যদিকে চুলে অকালপক্কতাও আসে না।"
তাঁর মতে, তাই চুলের সমস্যাকে সমূলে উৎপাটন করতে গেলে চুলে নিয়মিত তেল মাখা অত্যন্ত জরুরি। এছাড়াও ফলপ্রসূ আরও কয়েকটি জিনিস রয়েছে। সেগুলি হল-
আরও পড়ুন: কলা-ভুট্টা থেকে তৈরি হচ্ছে সুতো-কাপড়, রয়েছে বাঁশও, দেখুন
আরও পড়ুন: বাদামকাকুর সঙ্গে তুমুল নাচ স্যান্ডি সাহার, সেরে নিলেন 'মালাবদল'
১.চুলের অকালপক্কতায় আমলকী তৈল:
যাঁদের অকালে চুল পেকে যাচ্ছে, তাঁরা সবুজ আমলার স্বরস সমপরিমাণ নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে মৃদু তাপে পাক করে নিন। আমলার জলীয় পদার্থ বাষ্প হয়ে গেলে পরিষ্কার মিহি কাপড়ে সেটি ফিল্টার করে রেখে দিন।
নিয়মিত চুলের গোড়ায় হালকা ভাবে ঘষে ঘষে লাগান এতে চুল ঘন, দঢ়মূল ও কৃষ্ণবর্ণ হয়। এর পাশাপাশি আরও একটি ব্য়াপারকে মাথায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, "এই সমস্যায় পিত্তবর্ধক খাদ্যদ্রব্য (যেমন অতিরিক্ত ভাজাভুজি, ফাস্টফুড, লবণাক্ত খাবার ইত্যাদি) এড়িয়ে চলা উচিত।
আরও পড়ুন: সংস্কারের আশ্বাস, আত্রেয়ীর রাইখর মাছ ফের পাত পেড়ে?
২.চুলপড়া রোধে ভৃঙ্গরাজ:
ভৃঙ্গরাজ চুলের জন্য অমৃত সমান। চুলপড়া রোধে এটির স্বরস নিয়মিত মাখা উচিত। সঙ্গে লেবুর রসে দ্বিগুণ পরিমাণ নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যাবহার করলে আশাতীত ফল পাওয়া যায়। এবং চুলের স্বাস্থ্য যেহেতু অস্থি ধাতুর পুষ্টির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, তাই ক্যালসিয়ামের ঘাটতির ব্যাপারটিও নজরে রাখা উচিত।
আরও পড়ুন: কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু চিকিৎসাকেন্দ্র ভাঙা পড়বে? প্রতিবাদ
৩.নিস্তেজ চুলে মুলতানি মাটির শ্যাম্পু:
পরিষ্কার মুলতানি মাটি পরিমাণ মতো ভিজিয়ে রেখে দিন। ঘণ্টা খানেক পর ফুলে উঠলে তাতে জল দিয়ে গাঢ় ঘোল বানিয়ে ফেলুন। এটি শ্যাম্পুর মতো করে সপ্তাহে দু'বার মতো ব্যবহার করুন। এটি চুলকে মোলায়েম করে এবং উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনে।
সবশেষে বলি চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে ভাজা পোড়া খাদ্যদ্রব্য, অত্যধিক তেলমশলা যুক্ত খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।
নিয়মিত কোষ্ঠ পরিষ্কারের দিকে নজর দিতে হবে।
এবং সর্বোপরি চুলের যত্নের নামে অবৈজ্ঞানিক ভাবে ঘনঘন কৃত্রিম রং ব্যবহার ও হেয়ার ড্রয়ারের অভ্যাস কিন্তু ক্ষতিকর হতে পারে। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ প্রার্থনীয়।