একাধিক সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে এই একটি মাত্র পাতায়। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে ভারত এবং চিনের আর্য়ুবেদ চিকিৎসায় ব্যবহার করা হচ্ছে এই কালমেঘ পাতা। কালমেঘের মধ্যে রয়েছে একাধিক উপকারিতা। সবুজ চিকতা নামেও পরিচিত কালমেঘ। নাক থেকে ক্রমাগত জল ঝরলে কালমেঘ পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়। হালকা জ্বর, গলা ব্যাথা, সর্দির সমস্যাতেও প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে কালমেঘ পাতার রস খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে এখন শোনা যাচ্ছে, হৃদরোগের ক্ষেত্রেও নাকি উপকারি এই কালমেঘ পাতা। এখন তো হার্টের অসুখ ঘরে ঘরে। প্রচুর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। নিজের হৃদযন্ত্রের খেয়াল রাখা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে এখন। মাথায় রাখার বিষয় হল, কালমেঘ পাতাকে অবহেলা করা হয়। কালমেঘ পাতার গুণ কিন্তু প্রচুর।
কেন বাড়ছে হৃদরোগের ঝুঁকি
হার্টের রোগ এই সময়ে বেড়ে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। মানুষ হাই ব্লাডপ্রেশার, ডায়াবিটিস, ওজন বেশি থাকা, কোলেস্টেরলের মতো অসুখে আক্রান্ত। এবার এই সমস্ত রোগ কিন্তু হার্টের রোগের আশঙ্কা বাড়ায়। তাই প্রতিটি মানুষকে বলা হয়ে থাকে যতটা সম্ভব এই অসুখকে নিয়ন্ত্রণ করার। এবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে কালমেঘ পাতা পারে হার্টের রোগের আশঙ্কা কমিয়ে দিতে। জেনে নিন সেটা কীভাবে।
আরও পড়ুন: মধু তো মিষ্টি, সুগার রোগীরা কি খেতে পারেন? সঠিক উত্তর জানুন
অন্যান্য রোগেও কাজ দেয় এই পাতা
ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে এই পাতা অসাধারণ কাজ করে। এছাড়া বলা হয়ে থাকে যে কালমেঘ রক্ত পরিষ্কার করে দিতে পারে। এমনকী এতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল গুণ। ম্যালেরিয়াতেও কালমেঘ পাতা কাজ করে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রোটিনে ভরপুর-কমায় ভুঁড়িও, কীভাবে এঁচোড় খেলে মিলবে উপকারিতা?
কী বলছে গবেষণা
আসলে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কালমেঘ পাতায় রয়েছে অ্যান্টিথ্রম্বোটিক উপাদান। এই কারণে কালমেঘ খেলে রক্ত জমাট বাধতে পারে না। এই কারণে ব্লাড ক্লট করে না। এরফলে রক্তপ্রবাহ ঠিকমতো হয়।
হার্টের রোগ দূর করে কালমেঘ
হার্টের রোগ দূর করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে মাথায় রাখার বিষয় হল হার্টের অসুখ দূর করতে কালমেঘ খেতে হবে। কারণ শরীরে রক্তপ্রবাহ সচল রাখে কালমেঘ। ফলে রক্ত জমাট বাঁধে না। আর এর কারণে আপনার হৃদযন্ত্রও ভালো থাকবে।
আরও পড়ুন: গরমে কীভাবে খেজুর খেলে মিলবে উপকার? জেনে নিন
কীভাবে খাবেন এই পাতা
রাতে শোওয়ার আগে কালমেঘ জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপরের দিন সকালে কালমেঘ সরিয়ে দিয়ে জলটা খেয়ে নিন। এক্ষেত্রে হার্টের রোগ কমবে। তবে হার্টের কোনও অসুখ প্রথমেই দেখা দিলে সতর্ক হয়ে যান। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিতে পারেন।