Nolen Gur Benefits: শীত মানেই নলেন গুড় (Nolen Gur) আর জয়নগরের মোয়া। সারা বছর বাঙালি এই সময়ের জন্য অপেক্ষা করে থাকে। গুড় দিয়ে কত কী-ই না হয়! মিষ্টি, পায়েস, পিঠে। আর কিছু না হলে এমন এমনিও অনেকে খেয়ে থাকেন।
স্বাদে এবং গুণে
গুড় খেতে ভাল, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এর মধ্যে যে এতগুলো কী ছিল তা কে জানত! আর আপনি জানতে পারলে বেশ চমকে যাবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর অনুমতি না পেলে বিকল্প জায়গায় পৌষমেলা করতে চায় বোলপুর পুরসভা
মিষ্টি, খাবার তৈরির পাশাপাশি আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরি করতেও কাজে লাগানো হয় গুড়। বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা গেছে চিনির থেকে বেশি ভাল গুড়। অনেক রকম রোগের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার ক্ষমতা রাখে এটি।
আরও পড়ুন: ভুল করেও পেঁপে খাওয়া উচিত নয় এঁদের, হতে পারে বড়সড় ক্ষতি
হজমের কাজে সাহায্য করে, ওজন কমাতেও
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গুড় তাড়াতাড়ি হজম করতে সাহায্য করে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট। শরীরকে তরতাজা রাখতে গুড় খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। গুড় খেলে শরীরে প্রচুর এনার্জি তৈরি হয়। গুড় খেলে ওজন কমে। এর ফলে শরীরের মেদ ঝরাতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পটাশিয়াম থাকে। এর ফলেও ওজন কমে।
আরও পড়ুন: গাজরের এই ৬ জবরদস্ত ফায়দা জানলে রোজ খাবেন, দেখুন...
হজমে সাহায্যকারী উৎসেচক বা এনজাইমের নিষ্ক্রমণ বাড়িয়ে তোলে। ফলে হজমের প্রক্রিয়ায় সাহায্য হয়। এ ছাড়া গুড় মেটাবলিজমও বাড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: কোষ্ঠকাঠিন্য বিপজ্জনক, এই ১০ ঘরোয়া উপায়েই মুশকিল আসান
আয়রনের উৎস
দেহে থাকা অশুদ্ধি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় শরীর থেকে দূর করতে সাহায্য করে গুড়। এর মধ্যে থাকে প্রচুর আয়রন। শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে যাঁর, খুব সহজেই গুড়ের সাহায্যে তা পূরণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: PWD ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িতে জলের বদলে বেরোচ্ছে টাকা! মাথায় হাত দুর্নীতি দমন শাখার
আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যায়। গুড় সেই অভা অনায়াসে পূরণ করে দিতে পারে। প্রতিদিন সামান্য গুড় খেলেই সেই কাজ মিটে যাবে।
মহিলাদের প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম
প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম থেকে রক্ষা করে গুড়। কমবেশি সব মহিলাই এই সমস্যায় ভোগেন। ফলে তারা গুড় খেলে উপকার পেতে পারেন। প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিন্ড্রোম কী? মাসিকের সময় মহিলাদের শরীরে হরমোনের কম-বেশি ক্ষরণের ফলে অনেক রকম সমস্যা হয়।
অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে
গুড়ের রয়েছে সোডিয়াম এবং পটাশিয়াম। যা শরীরে অ্যাসিডের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। এর ফলে দেহের রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। এর পাশাপাশি গাঁটে ব্যথা কম করা, পাকস্থলী ঠান্ডা, রাখা লিভার পরিষ্কার রাখার কাজেও অত্যন্ত কার্যকরী।