Jibanananda Das : জীবনানন্দ দাশের আসল পদবি জানেন? জন্মদিনে রইল কবির কিছু অজানা তথ্য

জীবনানন্দ দাশের বাবা ছিলেন সত্যানন্দ দাশগুপ্ত ও মায়ের নাম ছিল কুসুমকুমারী দাশ। তাই স্বাভাবিকভাবেই জন্মসূত্রে জীবনানন্দেরও পদবি ছিল 'দাশগুপ্ত'। কিন্তু একটা সময় পদবি থেকে 'গুপ্ত' বর্জন করে শুধুই 'দাশ' লেখা শুরু করেন তিনি। জীবনানন্দ দাশের মা গৃহবধূ হলেও কবিতা লিখতেন। তাঁর রচিত কবিতাগুলির মধ্যে অন্যতম হল 'আদর্শ ছেলে'। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে কবিতা ছিল জীবনান্দের রক্তে।

Advertisement
জীবনানন্দ দাশের আসল পদবি জানেন? জন্মদিনে রইল কবির কিছু অজানা তথ্যজীবনানন্দ দাস
হাইলাইটস
  • শৈশবে শিক্ষা শুরু মায়ের কাছে
  • কবি পদবি পরিবর্তন করেছিলেন
  • গোটা জীবনে ছিল পেশাগত অনিশ্চয়তা

'বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর'। ছাত্রজীবনে পাঠ্যপুস্তকের এই লাইনখানি নিছকই কয়েকটি শব্দ নয়, প্রতিটি বঙ্গবসারী অহঙ্কার, যা প্রকাশ পেয়েছিল কবি জীবনানন্দ দাশের কলমে। আজ সেই জীবনানন্দ দাশেরই (Jibanananda Das) জন্মদিন। ১৮৯৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বরিশালে জন্ম জীবনানন্দ দাশের। 

জীবনানন্দের মা কবিতা লিখতেন

জীবনানন্দ দাশের বাবা ছিলেন সত্যানন্দ দাশগুপ্ত ও মায়ের নাম ছিল কুসুমকুমারী দাশ। তাই স্বাভাবিকভাবেই জন্মসূত্রে জীবনানন্দেরও পদবি ছিল 'দাশগুপ্ত'। কিন্তু একটা সময় পদবি থেকে 'গুপ্ত' বর্জন করে শুধুই 'দাশ' লেখা শুরু করেন তিনি। জীবনানন্দ দাশের মা গৃহবধূ হলেও কবিতা লিখতেন। তাঁর রচিত কবিতাগুলির মধ্যে অন্যতম হল 'আদর্শ ছেলে'। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে কবিতা ছিল জীবনান্দের রক্তে। এমনকি তাঁর শৈশবের শিক্ষাও শুরু মায়ের কাছেই। পরবর্তী সময় অবশ্য কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে এম এ করেন তিনি।

পরিবর্তন আনেন পদবিতে

যৌবনের শুরুতেই জীবনানন্দ দাশের মধ্যেও কবিপ্রতিভা বিকশিত হতে থাকে। দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের (Deshbandhu Chittaranjan Das) প্রয়াণের পর তাঁর স্মরণে একটি কবিতা লিখেছিলেন জীবনানন্দ, যেটি 'বঙ্গবাণী' পত্রিকায় প্রকাশিতও হয়েছিল। ১৯২৭ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ঝরা পালক'। মূলত সেই সময় থেকেই পারিবারিক পদবি 'দাশগুপ্ত'র পরিবর্তে শুধু 'দাশ' লেখা শুরু করেন তিনি। 

বিমা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে করেছেন কাজ

একসময় সিটি কলেজে চাকরি করতেন জীবনানন্দ দাশ। কিন্তু প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যেই চাকরি হারান তিনি। কলকাতায় আর কোনও কাজ না পেয়ে চলে যান বাগের হাটের প্রফুল্ল চন্দ্র কলেজে শিক্ষকতা করতে। তবে সেখানেও বেশিদিন নয়, মাত্র ২ মাস ২০ দিন পরেই ফিরে আসেন কলকাতায়। চূড়ান্ত আর্থিক সংকটে পড়ে একসময় গৃহশিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন। সঙ্গে লেখালেখি থেকে হত সামান্য রোজগার। ১৯২৯ সাল দিল্লির একটি কলেজে চাকরি পান। কিন্তু সে চাকরির মেয়াদও ছিল চার মাস। পরবর্তী সময়ে আরও বেশকিছু কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। কখনও আবার কাজ করেছেন বিমা সংস্থার এজেন্ট হিসেবে। ছোট ভাইয়ের থেকে অর্থ ধার করেছিলেন ব্যবসা করবেন বলে। কিন্তু কোনওদিনই পেশাগত দিক থেকে নিশ্চিন্ত হতে পারেননি তিনি। 

Advertisement

অপর্ণা সেনের মামা

ব্যক্তিগত জীবনে লাবণ্য গুপ্তর সঙ্গে বিয়ে হয় জীবনানন্দ দাসের। তাঁদের দুই সন্তান, মঞ্জুশ্রী ও সমরানন্দ। অভিনেত্রী অপর্ণা সেন (Aparna Sen) সম্পর্কে কবির ভাগ্নি। কারণ অপর্ণার মা ছিলেন জীবনানন্দের খুড়তুতো বোন। আর জীবনানন্দ দাস ছিলেন অপর্ণা সেনে 'বিলু মামা'।  

আরও পড়ুনএই Indo-Canadian সিঙ্গারের সঙ্গে ডেট করছেন উরফি, বললেন মনের কথা

 

POST A COMMENT
Advertisement