হায়দরাবাদকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে পোঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে দ্বিতীয় লেগেও গোল পায়নি কোনও দলই ফলে ম্যাচ গড়ায় এক্সট্রা টাইমে। সেখানেও ফয়সালা না হওয়ায় টাইব্রেকারে ম্যাচ জেতে মোহনবাগান। ৪-৩ গোলে। ফাইনালে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসি-র মুখোমুখি হবে মোহনবাগান।
বেশ কিছু সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। গোটা ম্যাচ জুড়েই ছিল সবুজ-মেরুনের দাপট। প্রথমার্ধের একেবারে শেষদিকে মনবীর সিং-এর শট ক্রসবারে লাগে। তাঁর আরও একটা শট গোলকিপারের হাতে চলে যায়। দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট দেখায় সবুজ -মেরুন শিবির।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে যৌনতার 'ফাঁদ', জার্মানির সেই কেচ্ছা আজও চর্চিত
গোল করার সুযোগ পেয়েছিল হায়দরাবাদও। তারাও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়। ২২ মিনিটে সুযোগ তৈরি হয় বাগানের সামনে। মনবীরের শট বাঁচিয়ে দেন হায়দরাবাদ এফসি। এরপর পাল্টা আক্রমণে ঝাঁপায় হায়দরাবাদ। কিন্তু দু’পক্ষই আক্রমণে ঝাঁপালেও, প্রথমার্ধে কেউই গোলের দরজা খুলতে পারেনি। যার ফলে প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল থাকে গোলশূন্য।
আরও পড়ুন: ঘরের মাঠে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে অ্যাডভান্টেজ মোহনবাগান, চিন্তা দুই ফুটবলারের চোট
দ্বিতীয়ার্ধেও চলে একের পর এক আক্রমণ। ম্যাচের ৫৭ মিনিটের মাথায় আবারও গোলের সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান। কিন্তু অল্পের জন্য এগোতে পারেনি বাগান ব্রিগেড। ডান দিকে বল পেয়ে আশিস রাই পাস দেয় হুগো বৌমোসকে। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে বৌমোসের গড়ানো শট ঝাঁপিয়ে বাঁচিয়ে দেন হায়দরাবাদ গোলরক্ষক গুরমিত সিং। পাল্টা আক্রমণে ঝাঁপায় হায়দরাবাদ। তবে ওগবেচেকে নড়তেই দেননি প্রীতম-শুভাশিসরা। কিয়ানকে তুলে মাঠে নামান লিস্টন কোলাসোকে। এরপর ম্যাচের ৭৩ মিনিটে বৌমোসকে তুলে নিয়ে ফেডেরিকোকে মাঠে নামান জুয়ান। এরই মধ্যে ৮২ মিনিটের সহজ গোল নষ্ট করেন স্লাভকো। এরপর আক্রমণে গেলেও নির্ধারিত সময় গোলের দরজা খুলতে পারেনি দু'দল। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তবে অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচের ফলাফল না আসায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। শেষমেশ টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হায়দরাবাদকে হারায় বাগান ব্রিগেড।