কমনওয়েলথ গেমসে ভারতকে সোনা এনে দিলেন পিভি সিন্ধু (PV Sindhu)। প্রথম সেটে কানাডার মিশেল লিকে ২১-১৫ ব্যবধানে হারিয়ে দেন ভারতের শাটলার। টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জিততে না পারলেও কমনওয়েলথে সোনা জিতলেন ভারতের তারকা। দ্বিতীয় সেটে দারুণ লড়াই করেন দুই শাটলারই। তবে শেষ হাসি হাসেন ভারতের শাটলারই। ২১-১৩ ব্যবধানে দ্বিতীয় সেট জিতে চ্যাম্পিয়ন হন সিন্ধু।
বাঁ পায়ে হাল্কা চোট নিয়েই খেলতে নেমেছিলেন সিন্ধু। দ্বিতীয় গেমে বড় র্যালি শেষ হওয়ার পর হাঁটু ধরে ঝুঁকে পড়তে দেখা যায় তাঁকে। তবে সেই সমস্যা কিছুক্ষনের মধ্যেই কাটিয়ে ওঠেন সিন্ধু। একের পর এক পয়েন্ট তুলে নিতে থাকেন তিনি। নিখুঁত প্লেসিং, বিপক্ষের একাধিক আনফোর্স এরের সুযোগ নিয়ে পয়েন্ট জিততে থাকেন ভারতের শাটলার। এই প্রথম কমনওয়েলথ গেমসের সিঙ্গলসে সোনা জিতে নিলেন সিন্ধু।
আরও পড়ুন:'জেতা ম্যাচ হেরে ফিরল...' ফাইনালে হরমনপ্রীতদের হারে ক্ষুব্ধ আজাহারউদ্দিন
প্রথম গেমে দারুণ লড়াই দেখা গিয়েছিল। আশা করা হয়েছিল দ্বিতীয় গেমে জেতার জন্য আরও ঝাঁপাবেন সিন্ধু। তবে তা হয়নি। কৌশলে খেলার গতি কিছুটা কমিয়ে দেন বিশ্বের সাত নম্বর শাটলার। আর এতেই ছন্দ হারাতে দেখা যায় মিশেলকে। নেটের সামনে ভুল করতে থাকেন তিনি। ৯-৩ ব্যবধানে এগিয়ে যান সিন্ধু। এরপর যদিও খেলায় ফেরার চেষ্টা করতে থাকেন মিশেল। তবে তাতে লাভ হয়নি।
আরও পড়ুন: COVID আক্রান্ত, তবু কমনওয়েলথে মাঠে নামলেন অস্ট্রেলিয়ার মহিলা ক্রিকেটার
বিশ্বের ১৩ নম্বর মিশেল ২০১৪ গ্লাসগো অলিম্পিক্সে সোনা জিতেছিলেন। তবে এখনও অলিম্পিক্সে পদক নেই কানাডিয়ান শাটলারের। সব মিলিয়ে কিছুটা এগিয়ে থেকেই লড়াইয়ে নেমেছিলেন সিন্ধু। দুই জনের মধ্যে বারবারই লম্বা র্যালি হয়। তবে স্নায়ুর চাপ সামলাতে পারেননি মিশেল। বারবার ভুল করতে থাকেন। সেই সুযোগকেই কাজে লাগান ভারতীয় শাটলার।
আরও পড়ুন: ফের কমনওয়েলথে ভারতের সোনা, এবার পদক বক্সিংয়ে
এর আগে ২০১৪ কমনওয়েলথ সিঙ্গলসে ব্রোঞ্জ জেতেন সিন্ধু। ২০১৮ গোল্ড কোস্টেও সোনা জিততে পারেননি তিনি। রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাঁকে। অলিম্পিক্সে দুটি পদক জিতলেও সোনা জেতা হয়নি তাঁর। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে যদিও সোনা জিতেছেন তিনি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ সিঙ্গলসে মোট পাঁচটি পদক রয়েছে তাঁর। তিনি সোনা জিতলেও মিক্সড দল্গত বিভাগে ফাইনালে হেরে গিয়েছে ভারত।