প্যাচপ্যাচে গরমে যেমন হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টিতে শরীর জুড়িয়ে যায়, তেমনই সারা সপ্তাহের তুমুল ব্যস্ততার ফাঁকে সপ্তাহান্তে একটু নিরিবিলি কোথাও ঘুরে এলে মন জুড়িয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সবুজে ঘেরা নিরিবিলি সরকারি ঠিকানা দিঘার ওসিয়ানায়
বাঙালির ‘উইক এন্ড’ মানেই দিঘা! কিন্তু উইক এন্ডে দিঘা মানেই পর্যটকের ভিড়ে ঠাসাঠাসি অবস্থা। ছুটি কাটাতে গিয়েও যদি ভিড়ের চাপে গুটিসুঁটি মেরে থাকতে হয়, তাহলে চোখ, মনের আরাম হবে কী করে?
তবে মাত্র দেড়, দু’দিনের ছুটিতে সমুদ্রের পাড়ে যতটা শান্তি মেলে, তেমন কি আর কোথাও গেলে মিলবে? তাই এবারের ‘উইক এন্ড ডেস্টিনেশন’ দিঘার অদূরেই, লাল কাঁকড়ার বিচ। কোলাহলবিহীন, শান্ত পরিবেশ। এই জায়গাটা মন্দারমণির মতোই নিরিবিলি। তবে খরচ মন্দারমণির থেকে অনেকটাই কম।
লাল কাঁকড়ার বিচ নামটা থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে এখানে এলে লাল কাঁকড়ার দেখা অবশ্যই মিলবে। এখানে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে তৈরি লক্ষ লক্ষ লাল কাঁকড়া। একেবারে রেড কার্পেটের মতো সৈকতজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে।
প্রকৃতি এখানে এতটুকু বদলায়নি। অসংখ্য ঝাউ গাছের সঙ্গে মানানসই এই লাল কাঁকড়া। তবে ধরতে গেলেই ফুরুৎ করে পালাবে। দিঘা যাওয়ার পথে চাউলখোলায় নেমে মোটামুটি ১১ কিলোমিটার পথ টোটো বা ট্রেকারে চড়ে পৌঁছে যাওয়া যাবে এখানে।
কলকাতা থেকে এই লাল কাঁকড়ার বিচের দূরত্ব মোটামুটি ১৭৫-১৮০ কিলোমিটার। মন্দারমণি যাওয়ার রাস্তা ধরে এগোলে যে দিকে মন্দারমণি, তার উল্টো দিকেই মোটামুটি ৪ কিলোমিটার গেলেই লাল কাঁকড়ার বিচ।
এখানে থাকার মতো হোটেল নেই বললেই চলে। রয়েছে শুধু হাতে-গোনা কয়েকটা হোম-স্টে আর রামকৃষ্ণ মিশনের আশ্রমে থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। এটি পুরুষোত্তমপুরের শ্রীরামকৃষ্ণ মন্দির, বিবেকান্দ মঠ ব্যারাকপুর (মন্দারমণি শাখা)। আশ্রমে আমিষ ও নিরামিষ সব ধরনের খাবারের আয়জনই থাকে।