LIC IPO Issue Date: শিগগিরি শেয়ার বাজারে আসতে চলেছে সরকারি বীমা সংস্থা এলআইসি-র আইপিও (LIC IPO)। সরকার এই সপ্তাহে বাজার নিয়ন্ত্রক SEBI-এর কাছে IPO-এর ডিআরএইচপি (DRHP) ফাইল করতে প্রস্তুত। খুচরা বিনিয়োগকারীরা এই আইপিও (LIC IPO)-র জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: দেড় কোটি অ্য়াকাউন্টে ঢুকেছে আইটি রিফান্ড, এভাবে চেক করুন নিজের স্টেটাস
ভাল খবর
এখন এমন মানুষদের জন্য একটি সুখবর রয়েছে, যাঁদের ইতিমধ্যেই কোনও এলআইসি পলিসি (এলআইসি পলিসি হোল্ডার বা LIC Policy Holder) রয়েছে। এই ধরনের বিনিয়োগকারীরা সস্তায় শেয়ার মানে এলআইসি-র আইপিও (LIC IPO) কেনার সুযোগ পেতে পারেন।
এক পৃথক অংশ পলিসি হোল্ডারদের জন্য রাখা থাকবে
ডিপার্টমেন্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড পাবলিক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট (DIPAM)-এর সেক্রেটারি তুহিনকান্ত পান্ডে, প্রস্তাবিত আইপিওতে লক্ষ লক্ষ এলআইসি বিমাকারীকে (LIC Policy Holder) ছাড় দেওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, খুচরো বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওতে কিছু সংরক্ষণ থাকতে পারে।
তিনি আরও জানান, তাঁরা পলিসি হোল্ডার (LIC Policy Holder)-দের জন্য একটি অংশ আলাদা করে রাখছি। আমরা এলআইসি (LIC) আইনে কিছু সংশোধন করেছি, যাতে ইস্যুতে প্রতিযোগিতামূলক ভিত্তিতে পলিসি ধারকদের কিছু ছাড় দেওয়া যেতে পারে। কিছু অংশ এলআইসি (LIC) কর্মীদের জন্যও সংরক্ষিত থাকবে।
সাধারণ মানুষ, এলআইসি কর্মীদের জন্যও ছাড়
জান গিয়েছে, খুচরো বিনিয়োগকারী এবং কর্মচারীদের জন্যও কিছু ছাড় দেওয়া যেতে পারে। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও অফিসার বা প্রতিষ্ঠান কিছু বলেননি। সরকার চায় এলআইসি (LIC)-এর প্রস্তাবিত IPO-তে সাধারণ মানুষের আরও বেশি অংশগ্রহণ থাকুক। এর ভিত্তিতে, খুচরা বিনিয়োগকারীদের জন্য ছাড়ের জল্পনা রয়েছে।
IPO বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত নয়
সরকার এই আইপিও (LIC IPO)-র মাধ্যমে এলআইসি-তে তার ৫ থেকে ১০ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে পারে। পান্ডে এ বিষয়ে জানান, এটি ডিআরএইচপিতে জানা যাবে। তিনি আরও জানান, অফারে অন্তত ৫ শতাংশ শেয়ার থাকবে।
বাজেটে ডিসইনভেস্টমেন্ট টার্গেট কমানোর পর সরকার এলআইসি আইপিওর সাইজ কমাতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে সরকার মাত্র ৫ শতাংশ শেয়ার দেওয়ার কথা। যাই হোক, পান্ডে বলেছেন যে বিনিয়োগ লক্ষ্যের সংশোধনের সঙ্গে আইপিওর আকারের কোনও সম্পর্ক নেই।
সরকার লক্ষ্যমাত্রা অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Union Finance Minister Nirmala Sitharaman) ০১ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করার সময়, বিনিয়োগ লক্ষ্যমাত্রা সংশোধন করেছিলেন। এর আগে সরকার ২০২১-২২ সালে বিনিয়োগ থেকে ১.৭৫ লক্ষ কোটি টাকা সংগ্রহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন। এবারের বাজেটে এই লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে ৭৮ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে।
একই সময়ে, ২০২২-২৩-এর জন্য মাত্র ৬৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার এমন এক সময়ে বিনিয়োগের লক্ষ্যমাত্রা কমিয়েছে যখন আর্থিক বছর শেষ হতে আর মাত্র কয়েক সপ্তাহ বাকি।