Kenjakuda Muri Mela: করোনার বাড়বাড়ন্তেও ছেদ পড়ল না রীতিতে। প্রাচীন রীতি মেনে বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ায় দ্বারকেশ্বর নদের চরের মুড়ি মেলায় মুড়ি খেতে হাজার হাজার মানুষের ভিড়।
আরও পড়ুন: শীতে সুস্থ থাকতে হলে প্রবীণদের মানতেই হবে এই ৫ বিষয়
সারা রাজ্যের পাশাপাশি বাঁকুড়া জেলাতেও করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু করোনার সেই ঊর্ধ্বগতি ছেদ টানতে পারল না বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়ার সুপ্রাচীন মুড়ি মেলা (Kenjakura Muri Mela)-য়।
আরও পড়ুন: এবং ঈপ্সিতার কলমে রাজর্ষির 'লেডি ম্যাকবেথ' মিথিলা! কীভাবে সম্ভব হল?
নানা পদ সহযোগে দ্বারকেশ্বর নদের চরে বসে পরিবার-পরিজন নিয়ে মুড়ি খাওয়ার উৎসব (Kenjakura Muri Mela)-এ যোগ দিলেন হাজার হাজার মানুষ।
আরও পড়ুন: টাক পড়ছে? ছেলেদের মাথায় গজাবে নতুন চুল, উপায় খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা
রাঢ় বাংলার মানুষের খাদ্যতালিকায় থাকা ফেভারিট আইটেমগুলির মধ্যে অন্যতম মুড়ি। রাঢ় বাঁকুড়ার মানুষের কাছে মুড়ি এতটাই জনপ্রিয় যে জনশ্রুতি একবার আকাশপথে ঢেঁকিতে চড়ে যাওয়ার পথে স্বয়ং নারদ মুনি মুড়ি ভেজানোর চোঁ-চোঁ শব্দে রীতিমত ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: উগসর্গ থাকলেই COVID পরীক্ষা করাতে হবে, রাজ্যের কাছে দাবি দিলীপের
তা সেই মুড়ি খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাঁকুড়া জেলায় এক-আধটা উৎসব থাকবে না, তা কেমন করে হয়? তেমনই এক উৎসব কেঞ্জাকুড়ার মুড়ি মেলা (Kenjakura Muri Mela)। বাঁকুড়ার অন্যতম প্রাচীন জনপদ কেঞ্জাকুড়া। এই কেঞ্জাকুড়ার একপ্রান্ত দিয়ে বয়ে গিয়েছে দ্বারকেশ্বর নদ।
আরও পড়ুন: কন্ডোম, সোডা-আইস কিউব, অনলাইনে সবথেকে বেশি অর্ডার হয়েছে নিউ ইয়ারে
সেই নদের ধারেই মাতা সঞ্জীবনী মন্দির। যে মন্দিরে মকর সংক্রান্তির দিন থেকে শুরু হয় সংকীর্তন।
আরও পড়ুন: COVID বিধি মেনে কামারপুকুরে পালিত কল্পতরু উৎসব, হাজির ভক্তরা
শেষ হয় মাঘ মাসের চতুর্থীর দিন। কথিত আছে একসময় দূর-দূরান্তের মানুষ সংকীর্তন শুনতে এই সঞ্জীবনী মাতার আশ্রমে আসতেন।
সারা রাত সংকীর্তন শুনে তাঁরা ফিরে যেতেন নিজের নিজের গ্রামে। কীর্তন শুনে ফেরার পথে সাথে আনা মুড়ি দারকেশ্বর নদের চরে ভিজিয়ে খেতেন পুণ্যার্থীরা। সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে পুণ্যার্থীদের সেই অভ্যাসই পরিণত হয়েছে রীতিতে।
এখন ফি বছর মাঘ মাসের চতুর্থী দূর-দূরান্তের মানুষ সঙ্গে মুড়ি বেঁধে পরিবার পরিজন নিয়ে ছুটে আসেন কেঞ্জাকুড়ার কাছে দ্বারকেশ্বরের চরে। সঙ্গে থাকে চপ, সিঙাড়া, বেগুনি, শসা, মুলো, পেঁয়াজ, নারকেল, টমেটো, বিভিন্ন ধরনের নাড়ু, জিলিপি, মিঠাই সহ বিভিন্ন পদ।