ঠিক যেন সিনেমা! বলিউড অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানা এবং ভূমি পেডনেকার অভিনীত 'বালা'-এর মতো একটি গল্প উত্তরপ্রদেশের উন্নাও থেকে পাওয়া গিয়েছে। এই রিয়েল লাইফ স্টোরিতে মালাবদলের পর কনে জানতে পারেন যে বরের চুল নকল। এরপর মেয়েটি বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। বিয়ে নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে বিবাদ শুরু হয়।
ঘটনাটি উন্নাও জেলার সফিপুর কোতোয়ালি এলাকার একটি গ্রামের। এখানে বসবাসকারী একটি পরিবারের অক্ষরা (নাম পরিবর্তিত)-এর সম্পর্ক কানপুরের রাহুল (নাম পরিবর্তিত)-এর সঙ্গে স্থির হয়েছিল। দুই পরিবারের মধ্যে ২০ মে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছিল।
এরপর পাত্রপক্ষের লোকজন গ্রামের নির্ধারিত স্থানে পৌঁছয়। মেয়ের বাড়িল লোকজন তাঁকে স্বাগত জানান। এরপর জমকালো মিছিল বের করা হয়। মেয়ে পক্ষের থেকে বরের সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহার করা হয়েছিল। বর তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে মঞ্চে পৌঁছেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে বর-কনেও বন্ধুদের সঙ্গে মঞ্চে আসেন।
আরও পড়ুন: Shocking! মহিলা জিমে তুললেন ১৮০ কেজির বারবেল, তত্ক্ষণাত্ মৃত্যু
আরও পড়ুন: এবার উল্টে দিকে হাঁটুন! শরীর-মন হয়ে উঠবে ফুরফুরে, জবরদস্ত ফায়দা
আরও পড়ুন: যেন সিনেমার দৃশ্য! ক্রেতা সেজে বেআইনি হুক্কা বারে অভিযানে পুলিশ, ধৃত ৫
মালাবদলে হইচই
এরপর বিয়ের অনুষ্ঠানস্থলে শুরু হয় মালাবদল অনুষ্ঠান। এ জন্য একটি বৃত্তাকার মঞ্চ আহ্বান করা হয়। এখানে বর-কনে একে অপরকে ফুলের মালা পরিয়ে দেন। এরপর একই মঞ্চের সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় হঠাৎ মাথা ঘুরতে লাগে বরের। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। সেখানে উপস্থিত লোকজন কোনও রকমে তাঁকে সামলে মাটিতে নিয়ে যায়।
হাতে পরচুলা
এমনও আলোচনা হয়েছিল যে মৃগীরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর বর মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যান। কেউ বলছিলেন, গোল ঘোরানো মঞ্চের কারণে তাঁর মাথা ঘোরা শুরু হয়েছে।
এরপর কনের ভাইয়েরা বরের মুখে জল ছিটাতে শুরু করেন। এবং বরের মাথা কাঁপতে থাকে। এবার তার উইগ (নকল চুল বা পরচুলা) বেরিয়ে আসে এবং পড়ে যায়। যা দেখে সেখানে উপস্থিত সকলেই হতবাক হয়ে যান।
বধূ প্রচণ্ড বিরক্ত
নববধূও যখন তাঁর ভাবী স্বামীকে টাকমাথা অবস্থায় দেখেছিল, তখন তিনিও খুব রেগে গিয়েছিলেন। ছেলে পক্ষের বিরুদ্ধে জোরে চিৎকার করে প্রতারণার অভিযোগ তোলেন। এবং সাত পাক নিতে অস্বীকার করেন। কিছু লোক কনেকে বোঝানোর চেষ্টাও করেছিলেন। কিন্তু তিনি কোনও অবস্থাতেই তাঁর অসম্পূর্ণ বিয়ে সম্পন্ন করতে রাজি হযননি।
ছেলেদের আটকে রাখা হয়
এরপর মেয়ে পক্ষ প্রতারণার কথা বলে বর-সহ তাঁর বাবাকে আটকে রাখেন। গভীর রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত এই গোটা বিতর্ক চলে। পরে কেউ স্থানীয় পুলিশকে খবর দেয়। এ সময় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তিনি উভয় পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করেন।
টাকা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন
এরপর তাঁদের মধঅযে সমঝোতা হয়। ছেলে পক্ষ বিয়েতে যে টাকা খরচ হয়েছে, মেয়ের পরিবারকে সব দিতে রাজি হয়। ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা উদ্ধারের পর মেয়ের পরিবার রাজি হয়। এবং বরের বিরুদ্ধে কোনও মামলা হয়নি এবং পরে কনেকে বরযাত্রী ফিরে আসে।