Malda Student Dead At Sikkim Bike Accident: অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় বন্ধুদের সঙ্গে সিকিমে গিয়েছিলেন মোটরবাইক নিয়ে। কিন্তু অ্যাডভেঞ্চার সেরে আর ফেরা হল না। বছর সাতাশের তরতাজা যুবকের। মালদার ওই বাঙালি যুবকের বাইক দুর্যোগের মধ্যে চাকা হড়কে গিয়ে খাদে পড়ে যায়। তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। আঘাত এতটাই গুরুতর ছিল, তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিং পাহাড় সহ উত্তরে প্রবল বৃষ্টি-ধসের পূর্বাভাস, দুর্যোগ সিকিম-ভুটানেও
মালদহের মেধাবী যুবক
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম রাহুল সিংহ। বয়স ২৭ বছর। মালদহের শহরের সানি পার্ক এলাকায় বাড়ি। বাবা তপন সিংহ পেশায় পুলিশকর্মী। মালদহে পারিবারিক সূত্রের খবর, রাহুল ছোট থেকেই মেধাবী। চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে পড়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সুযোগ না পাওয়ায়, দিল্লিতে থেকে পেশাদার কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন। পুজোর সময় ছুটিতে বাড়ি ফিরেছিলেন। সেখানেই বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন রাহুল। সপ্তমীর দিনই এলাকার তিন বন্ধুর সঙ্গে অ্যাডভেঞ্চারের ঝেঁকে সিকিমে ঘুরতে যান। বাইক ছিল তাঁর ভালবাসা। কিন্তু সেই বাইকই কেড়ে নিল জীবন।সোমবারই ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আর ফেরা হল না।
কী ঘটেছিল সেদিন
সোমবার তাঁরা সিকিম থেকে ফিরছিলেন। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মৃত্যুফাঁদ হয়ে রয়েছে। তার মধ্যেই কোনওমতে ফিরছিলেন। সঙ্গে বাইক থাকায় বাইক রেখে বিকল্প পথে ফেরার কোনও উপায় ছিল না। তাই বাইক নিয়ে সাবধানেই ফিরছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে মাঝে রাস্তায় এক জায়গায় শার্প টার্ন থাকায় সেখানে বাইক নিয়ে খাদে পড়ে যান তিনজনই। তাঁরা আলাদা বাইকে ছিলেন প্রত্যেকে। এক সঙ্গে তিনজন কীভাবে পড়ল তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই। খাদে পড়ার পর তাঁদের স্থানীয়রাই দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি খাদ থেকে দ্রুত তুলে আনেন। প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তারপর পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকলে তাঁদের উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মঙ্গলবার রাহুলের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দেহ মালদহের বাড়িতে পৌঁছয়।
আরও পড়ুনঃ 'চোখের সামনে বড় বড় পাথর গড়িয়ে পড়ছে', সিকিমে অভিজ্ঞতা বাংলাদেশি পর্যটকের
পাহাড়ে খারাপ আবহাওয়া
উত্তরপ্রদেশ থেকে অরুণাচলপ্রদেশ পর্যন্ত নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরে বেশ কয়েকদিন ধরে তুমুল বৃষ্টি চলছে সিকিম ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। ধস নেমে, রাস্তা ভিজে পিচ্ছিল হয়ে রয়েছে। পর্যটকদের অবাধ গতিবিধির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাহাড়ি পথগুলি এখন মৃত্যুফাঁদ। পদে পদে দুর্ঘটনার আশঙ্কা। এসব কিছু মাথায় রেখেও সাবধানে ফেরার চেষ্টা করছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।