scorecardresearch
 

কুমারগঞ্জে BSF ক্যাম্পের পিছনে ঝোপে আদিবাসী তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ, ধর্ষণ করে খুন?

পুলিশ সূত্রের খবর, কুমারগঞ্জের ফকিরগঞ্জে বাড়িতেই ছিলেন ওই আদিবাসী মহিলা। বুধবার দুপুরে হাটে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। তারপর সারা রাতেও আর বাড়ি ফেরেননি তিনি।

Advertisement
ছবিটি প্রতীকী ছবিটি প্রতীকী
হাইলাইটস
  • নির্জন ঝোপে অর্ধনগ্ন দেহ
  • ট্যুইট করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি 
  • ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারের

জঙ্গলে আদিবাসী তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধার হল দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জের বর্বারসা গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে বিএসএফ ক্যাম্পের কাছে একটি ঝোপ-জঙ্গল এলাকায় দেহটি উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। উদ্ধার হওয়া দেহের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। কুমারগঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে তরুণীর পরিবার।

আরও পড়ুন: Amit Shah On TMC: 'বিরোধীদের খুন, ধর্ষণ করে ক্ষমতা চাই না,' লোকসভায় শাহের নিশানায় TMC

নির্জন ঝোপে অর্ধনগ্ন দেহ

পুলিশ সূত্রের খবর, কুমারগঞ্জের ফকিরগঞ্জে বাড়িতেই ছিলেন ওই আদিবাসী মহিলা। বুধবার দুপুরে হাটে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন তিনি। তারপর সারা রাতেও আর বাড়ি ফেরেননি তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে সামান্য দূরে দাউদপুর বিএসএফ ক্যাম্পের ঠিক পেছনে একটি নির্জন ঝোপের মধ্যে থেকে অর্ধনগ্ন অবস্থায় ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। যাকে ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। দেহে বেশ কিছু জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা। যা থেকেই বাসিন্দাদের অনুমান ধর্ষণের পরেই খুন করা হয়েছে ওই আদিবাসী মহিলাকে।

আরও পড়ুন: ধর্ষণের চেষ্টার পর খুনের হুমকি, ময়নাগুড়িতে গায়ে আগুন নাবালিকার

ট্যুইট করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি 

এদিকে একই অভিযোগ তুলে ট্যুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও। পরিবারের লোকেদের অবশ্য দাবি, এই ঘটনা কোনও ভাবেই আত্মহত্যা নয়। তা করলে নিজের বাড়িতেই করতে পারতেন ওই তরুণী। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে ৩০২,২০১ ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে কুমারগঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আব্দুল হাসান নামে এক ব্যক্তিকে আটকও করেছে পুলিশ বলেও সূত্রের খবর।

Advertisement

খবর পেয়ে সকাল হতেই  ঘটনাস্থলে তপন বিধানসভার বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ পুলিশ আধিকারিকরা। বিধায়কের দাবি, ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে তাঁরা তড়িঘড়ি এলাকায় পৌঁছে যান। পরিবারের উপযুক্ত তদন্ত চাইছেন এবং দোষীদের কঠোর থেকে কঠোরতম শাস্তির আবেদন জানিয়েছেন।
 

Advertisement