Saraswati Puja 2022: করোনা (Corona)-র কারণে সরস্বতী প্রতিমা (Saraswati Idol)-এর চাহিদা কমে গিয়েছে অনেকটাই। এমনই বলছেন হুগলির মৃৎশিল্পীরা। ভেবেছিলেন, আগের বছরগুলোর ধাক্কা হয়তো এবার সামলানো যাবে।
আরও পড়ুন: ফিরহাদ থেকে মীনাদেবী- ভোটের তারাদের জয় মোটের ওপর মসৃণ পথেই
মা সরস্বতী (Saraswati Devi)-ও পারলেন না মা লক্ষীকে ঘরে ফেরাতে। মহামারী করোনা আবহে হুগলি জেলার সরস্বতী প্রতিমা তৈরি করার মৃৎশিল্পীদের বেহাল দশা।
আরও পড়ুন: বিশ্বভারতীর ঘণ্টাতলা নতুন করে বানিয়ে দিল ASI, খুশি আশ্রমিকরা
সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja) বাঙালির 'ভ্যালেন্টাইন ডে' নামে পরিচিত। আর গোনা কয়েক দিন বাকি। কিন্তু বাজারে সরস্বতী প্রতিমার সেরকম চাহিদা নেই। একেই মহামারী করোনা আবহে স্কুল-কলেজ বন্ধ।
আরও পড়ুন: বোল্ড লুকে 'ঝুমা বউদি', 'এমন করলে কী করে চলবে!' প্রশ্ন ফ্য়ানের
সেজন্য স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের জন্য সরস্বতী ঠাকুর (Saraswati Idol)-এর প্রতিমা সেরকম চাহিদা নেই।
আরও পড়ুন: ২০২১ সালে ডবল টাকা ফিরিয়েছে এই কোম্পানিগুলো, দেখুন Top 10
বিগত মাসে মহামারী করোনা তৃতীয় ঢেউ আবহে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নির্দেশে মহামারী করোনার নিয়ম বিধিকে কঠোর করে দেওয়া হয়। একের পর এক এলাকাকে কনটেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষিত করা শুরু হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: সুব্রত-শান্তনু ঠাকুর যোগ দিক TMC-এ, আহ্বান মতুয়ানেত্রী মমতার
সেই কারণে সরস্বতী ঠাকুর তৈরির পেশাযর সঙ্গে যুক্ত মৃৎশিল্পীরা এই বছরের জন্য ঠাকুর (Saraswati Idol) তৈরি করার কাজ বন্ধ করে দেন।
হুগলি (Hooghly)-র চন্দননগর (Chandannagar)-এ কয়েকশো মৃৎশিল্পীর পরিবার যারা বংশগতভাবে এই সরস্বতী প্রতিমা (Saraswati Idol) তৈরি করার পেশাকে বেছে নিয়েছেন, তাঁদের আর্থিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মহামারী করোনা আতঙ্কে তাঁদের রুজিরুটি সব চলে গেছে। কোনও ক্রমে সংসার চলছে। তাঁরা রীতিমতো অভাবে দিন গুনছেন।
তাঁরা ভেবেছিলেন, সরস্বতী পুজো (Saraswati Puja)-র সঙ্গে ধনসম্পত্তির দেবী মা লক্ষ্মীও ঘরে আসবেন। কিন্তু মহামারী করোনা তৃতীয় ঢেউ আতঙ্কে তাঁদের স্বপ্ন অধরা রয়ে গেল।
মহামারী করোনা আবহে একেবারে বলা যায় যে সরস্বতী প্রতিমা (Saraswati Idol)-র সেইভাবে কোনও চাহিদা নেই। অল্প কয়েকজন সরস্বতী ঠাকুরের মূর্তি (Saraswati Idol) কেনার আগ্রহ দেখাচ্ছেন। কিন্তু সময় হাতেগোনা, পাঁচ - ছয় দিন। তাঁরা চাইলেও ঠাকুর তৈরি করতে পারবেন না। এই বছরও মা সরস্বতীর পুজো (Saraswati Puja) আয়োজন ঘটা না করেই হবে।