Bangladeshi Teen Girl: ইমো-তে আলাপ হয়েছিল। সেখান থেকে প্রণয়। পরিবারের সদস্যরা অন্য যুবকের সঙ্গে বিয়ের ঠিক করেছিল। তবে তার মত ছিল না মোটেই। ছেড়ে আসে সব ছেড়েছুড়ে।
আরও পড়ুন: নেটপাড়ায় ভাইরাল কুলহাড় পিৎজা, ভাঁড় বেয়ে উপচে পড়ছে চিজ, মিলছে কোথায়?
তাই বাংলাদেশ পেরিয়ে ভারতে আসতে চেয়েছিল এক নাবালিকা। তবে সীমান্তে তাকে আটক করে বিএসএফ। রবিবার সে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় ভেসে গেল ওই নাবালিকা।
আরও পড়ুন: আবার বাঘের দেখা সুন্দরবনে, লঞ্চটির একেবারে কাছে রয়্যাল বেঙ্গল
সব কিছু ছেড়ে
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রেমের টানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশ করতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক নাবালিকা। তাকে দিনহাটা আদালতে তোলা হয়। রবিবার সকালে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ নাবালিকাকে দিনহাটা মহকুমা আদালতে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: Pedicure থেকে ইনফেকশন, পার্লারকে ১৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
আসার পথে প্রথমে তাকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই তাকে দিনহাটা মহকুমা আদালতে নিয়ে আসা হয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: IT Return নিয়ে দু'টি বড় সিদ্ধান্ত, লাভ হবে করদাতাদের
আটক নাবালিকা
প্রসঙ্গত, প্রেমের টানে বাংলাদেশে থেকে দীঘল টারী সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করার সময় বিএসএফের ১২৯ ব্যাটেলিয়ানের হাতে আটক হয় ওই নাবালিকা। এরপর তাকে সাহেবগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Omicron ঠেকাতে তৎপর রাজ্য, একগুচ্ছ পরিকল্পনা
তুফানগঞ্জের যুবকের জন্য
জানা গিয়েছে, কোচবিহার তুফানগঞ্জের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই ওই নাবালিকার প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল। সেই ভালবাসার টানে তিনি বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে আসেন। পরিবারের তার অমতে অন্য পাত্রের সঙ্গে বিয়ে ঠিক করে।
আর তাই ওই নাবালিকা বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে রওনা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছয় মাস আগে তুফানগঞ্জের যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায় নাবালিকা। তাই সে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ ভাবে আসছিল প্রেমিকের কাছে।
ভেঙে পড়ল কান্নায়
এদিন ওই নাবালিকা জানায়, সে একজনকে ভালবাসে। ফোনে আলাপ। ছেলেটার বাড়ি কোচবিহারে। ফোনে ঠিকানা দিয়েছে। মাস ছয়েক ধরে আলাপ। বাংলাদেশ থেকে বাসে করে আসি।
সে আরও জানায়, বাংলাদেশের বগুড়ায় বাড়ি তার। পরিবারের সদস্যরা অন্য একজনের সঙ্গে বিয়ে দিতে চেয়েছিল। তাই সে দেশ ছেড়ে চলে আসে। এ কথা বলার সময় নিজেকে আর সামলে রাখতে পারেনি। কান্নায় ভেঙে পড়ে সে।