scorecardresearch
 

West Bengal Civic Polls : PK-র তরফে দাবি ছিল ৫ লক্ষ, টিকিট বিকোচ্ছে ১০ লক্ষ টাকায়, বিস্ফোরক TMC নেতা

West Bengal Civic Polls: বিস্ফোরক দাবি বাউরিয়ার সহ-সভাপতি এবং উলুবেড়িয়া পুরসভা (Uluberia Municipality)-র প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধির স্বামীর। প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)-এর তরফ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল। না দিতে পারায় প্রার্থী করা হয়নি। এমনই অভিযোগ তাঁর।

Advertisement
মানোয়ারা বেগম এবং তাঁর স্বামী তৃণমূল নেতা কাজী আতিবর রহমান মানোয়ারা বেগম এবং তাঁর স্বামী তৃণমূল নেতা কাজী আতিবর রহমান
হাইলাইটস
  • দশ লাখ টাকায় উলুবেড়িয়া পুর নির্বাচনের টিকিট বিক্রি করেছে দল
  • প্রশান্ত কিশোরের তরফ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল
  • বিস্ফোরক দাবি বাউরিয়ার সহ-সভাপতি এবং উলুবেড়িয়া পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধির স্বামীর

West Bengal Civic Polls: দশ লাখ টাকায় উলুবেড়িয়া (Uluberia) পুর নির্বাচনের টিকিট বিক্রি করেছে দল। বিস্ফোরক দাবি বাউরিয়ার সহ-সভাপতি এবং উলুবেড়িয়া পুরসভা (Uluberia Municipality)-র প্রাক্তন পুরপ্রতিনিধির স্বামীর। প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor)-এর তরফ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছিল। না দিতে পারায় প্রার্থী করা হয়নি। এমনই অভিযোগ তাঁর।

উলুবেড়িয়া উত্তপ্ত
রাজ্য জুড়ে প্রার্থী হতে না পারার ক্ষোভের আঁচ এবার লাগল হাওড়ায়। হাওড়ার উলুবেড়িয়া পুরসভার নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট না পাওয়ার জন্য বিক্ষোভ উঠেছে চরমে। এই মধ্যে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয় এবং এলাকায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকেই প্রাধান্য দিয়ে দলীয় প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর। 

আর প্রার্থী তালিকা ঘোষণার কয়েকদিন উলুবেড়িয়া শান্ত থাকার পরই মঙ্গলবার অশান্ত হয়ে ওঠে বিক্ষোভে। পুরভোটে দলীয় প্রার্থীর টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন উলুবেড়িয়া পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন পুর প্রতিনিধি মানোয়ারা বেগম। 

দলের প্রতি ক্ষোভ
মঙ্গলবার উলুবেড়িয়া মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন তিনি। নিজের দলের উপর ক্ষুব্ধ মানোয়ারা বেগম দাবি করেন, তাঁর জনপ্রিয়তা থাকা সত্বেও তাঁকে এবার দলীয় টিকিট থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তিনি নির্দল হিসেবে জয়লাভ করে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে যাবেন। 

টাকার দাবি
পাশাপাশি মানোয়ারা বেগমের স্বামী তৃণমূল নেতা কাজী আতিবর রহমান দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, নির্বাচনে তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করার জন্য প্রশান্ত কিশোরের লোক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাঁর থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়েছিল তারা। যদিও তাঁর দাবি, এই ঘটনা তিনি তৎক্ষণাৎ দলকে জানিয়েছেন। 

তিনি আরও অভিযোগ করেন, দলীয় নেতৃত্বকে জানিয়েও কিন্তু কোনও সুরাহা মেলেনি। পাশাপাশি তিনি ওই ওয়ার্ডে তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের যাঁকে প্রার্থী হয়েছে, তাঁকে গুন্ডা ও চোর বলেছেন। 

Advertisement

টাকা না দেওয়ায় প্রার্থী নয়
তিনি অভিযোগ করেন, ওই নেতা গত দশ বছর ধরে শ্রমিক সংগঠনের নির্বাচনে জিততে পারেননি। শুধু টাকার জোরে পুর নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, "৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের টিকিট ১০ লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়েছে। তিনি টাকা না দিতে পারায় তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী করেনি দল।" 

দলের উচ্চস্তরের নেতৃত্বের কোনও মন্তব্য না করলেও তিনি দাবি করেন, স্থানীয় কিছু নেতাদের বিরুদ্ধে চক্রান্তে এই ঘটনা ঘটেছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রী ৭ বছর ধরে পুর প্রতিনিধি ছিলেন। এবারে জিতলে তাকে পুরসভাতে পদ দিতে হত। তাই এই চক্রান্ত করেছে দলেরই কিছু নেতা। 

তিনি বলেন, বরাবর তাঁর স্ত্রী পুর প্রতিনিধি হওয়ার সুবাদে মানুষের উন্নয়নের কাজ তিনি ছিনিয়ে এনেছেন। এতে দলের অনেকে ঈর্ষান্বিত তাঁর প্রতি। আর সেই ঈর্ষার কারণেই তাঁর স্ত্রীকে প্রার্থী হতে দেননি তারা।

তাঁর স্ত্রীই জিতবেন, দাবি
যদিও তাঁর দাবি, নির্বাচনে এই ওয়ার্ড থেকে বিপুল ভোটে জয়ী করে তার স্ত্রীকেই জিতিয়ে আনবেন সাধারণ মানুষ। যদিও উচ্চতর নেতৃত্বের বিষয় বলেই এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে চাননি শাসকদলের হাওড়া গ্রামীণের নেতৃত্ব।

 

Advertisement