আফগানিস্তানের পঞ্জশিরে ফের বিবাদমান দু'পক্ষের মধ্যে কথা শুরু হল। তালিবান এবং নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের মধ্য়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তালিবান আফগানিস্তানের প্রায় পুরোটাই দখল করে নিয়েছে। তবে পঞ্জশিরে দাঁত ফোঁটাতে পারেনি।
অধরা এক টুকরো
এখনও এই অঞ্চল অধরা রয়েছে তালিবানদের কাছে। এই নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই চলেছে। তবে এখন সিজফায়ার নিয়ে সমঝোতা হতে চলেছে।
আরও পড়ুন: মিছিলে BJP-র রূপা-অনিন্দ্য কেন? শতরূপকে তিরস্কার করল CPIM
আলোচনা শুরু
জানা গিয়েছে, আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে নর্দার্ন অ্যালায়েন্স এবং তালিবানদের মধ্যে কথা শুরু হয়েছ। তালিবানদের তরফে সেই বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন মৌলানা আমির খান মুক্তই। তালিবানদের তরফ থেকে এই আলোচনার একটা নামও দেওয়া হয়েছে। আর সেটা হল অমন জিগরা। এই বৈঠক পরবান জেলায় হয়েছে।
সংঘর্ষ
পঞ্জশিরে তালিবানদের সঙ্গে নর্দার্ন অ্যালায়েন্সের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে মারা গিয়েছেন ৩০০ তালিবান। তারা পঞ্জশির দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। তবে সেই কাজ অধরা রইল। নর্দার্ন অ্যালায়েন্স কড়া টক্কর দিয়েছে।
আরও পড়ুন: The National Flag of India : জাতীয় পতাকায় পরিবর্তন চেয়েছিলেন সত্যজিৎ, কারণ জানেন?
তালিবানদের বক্তব্য
পঞ্জশির নিয়ে তালিবানরা বলেছে, দুই তরফ থেকেই সিজফায়ার নিয়ে সম্মতি মিলেছে। আর তাই পঞ্জশিরে দুই পক্ষের কারও তরফ থেকেই গোলাগুলি চলবে না। আর না কোনও উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করা হরবে।
সেনা সরেছে
আফগানিস্তানে নিজেদের দখলে করে নিয়েছে তালিবান। সেখানকার মানুষ প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন। সে দেশে থেকে আমেরিকা-সহ ন্যাটোর বেশিরভাগ সেনা সরে গিয়েছে। তেমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: Ola-Uber-কে টেক্কা দিতে কলকাতার অ্যাপ-ক্যাব চালকেরা আনলেন ryde!
নিরাপত্তার জন্য
তবে এখনও কিছু সেনা রয়ে গিয়েছে। আর তা হল কাবুল বিমানবন্দরে। আমেরিকার মানুষকে নিরাপদে নিজেদের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য তাঁরা সেখানে রয়েছেন।
তালিবানি বিবৃতি
তালিবান নেতা সোহেল শাহিন এক বিবৃতি দিয়েছে। সেখানে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। সে বলেছে, আমেরিকা নিজেদের সেনা পেরানোর কাজে দেরি করলে তার ফল ভুগতে হবে। ৩১ অগাস্টই তালিবানের তরফ থেকে শেষ দিন ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে।
কথায় এবং কাজে মিল নেই
একদিকে তারা সবাইকে সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলছে। আর এর মাঝেই তালিবান হুমকি দিচ্ছে। আবার সব দূতাবাস চালু রাখার কথাও বলেছে তারা। তবে এরই মাঝে আমেরিকার সেনা সরানো নিয়ে চাপ বাড়িয়ে দিল তারা।