Aryan Khan Cruise Drug Case: বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানের (Shahrukh khan's Son Aryan Khan) নাম জড়িয়েছে ড্রাগ কেসে। গত শনিবার থেকে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর (Narcotics Control Bureau) হেফাজতে ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার প্রমোদতরী মাদক মামলায় (Cruise Drug Case) আরিয়ান-সহ ৮ জনকে আদালতে তোলা হয়েছিল।
এসআরকে (SRK) পুত্রের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে তাঁর রাত কেটেছে এনসিবি (NCB) অফিসে। কারণ আজ, অর্থাৎ শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি। এনসিবি অভিযুক্তদের ১১ অক্টোবর পর্যন্ত হেফাজতে চেয়েছিল। তবে আদালত তা নাকচ করে দিয়েছে। আরিয়ানের হয়ে এই কেসটি লড়ছেন আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে (Satish Manshinde)। তিনি আদলতে জানালেন, সেদিনের পার্টিতে যোগ দেওয়ার আগে ঠিক কী ঘটেছিল।
আরও পড়ুন: "আমরা তোমার পাশে আছি!" কিং খানের কঠিন সময়ে মন্নতের সামনে ফ্যানদের বার্তা
আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডে আদালতে জানান
আরিয়ানের হয়ে সতীশ মানশিণ্ডে বলেন, "আমি ক্রুজ টার্মিনালে পৌঁছেলাম, যেখানে আরবাজও ছিল। আমি ওঁকে চিনতাম, তাই আমরা দু'জনে একসঙ্গে ক্রুজের দিকে রওনা হই। আমি ওখানে পৌঁছানোর পরই ও আমায় জিজ্ঞেশ করে, আমি কোনও মাদক এনেছি কিনা। আমি জানাই না। ওঁরা আমায় এবং আমার ব্যাগ অনুসন্ধান করেও কিছু পায়নি। এরপর তারা আমার ফোন নিয়ে আমাকে এনসিবি অফিসে নিয়ে যায়। আমায় রাত ১.৩০- ২ টো নাগাদ আইনজীবীর সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।"
আরও পড়ুন: টিজারেই হুঙ্কার ছেড়ে সারা জাগাল OTT-র ম্যাকবেথ- 'মন্দার'
অভিযুক্ত মক্কেলের হয়ে আইনজীবী আদালতে আরও জানান, "এনসিবি আমার ফোন থেকে সব কিছু ডাউনলোড করে এবং সেই ভিত্তিতে আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। সেই রাত নিয়ে আমার কোনও অভিযোগ নেই।" কীভাবে প্রমোদতরীর সেই পার্টিতে আমন্ত্রণ পান আরিয়ান? আইনজীবী আদালতে জানান, "আমার এক বন্ধু প্রতীক আমায় ফোনে জানায়, আমি সেখানে ভিভিআইপি হিসাবে আমন্ত্রিত। প্রতীক গাবার সঙ্গে ফার্নিচারওয়ালার যোগাযোগ ছিল এবং সে উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল। হয়তো আমায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল পার্টির গ্ল্যামার কিছুটা বাড়ানোর জন্য।"
আরও পড়ুন: TRP: শীর্ষে 'মিঠাই'! অপুকে ফেলে এগিয়ে যমুনা, বাজিমাত 'দাদাগিরি'-র
আরিয়ান, আরবাজের কোনও এইরূপ কাজের বিষয়ে ওয়াকিবহল ছিলেন না। আরিয়ানের হয়ে সতীশ মানশিণ্ডে বলেন, "আমি বলছি না যে আরিয়ান আমার বন্ধু না। কিন্তু আমি ওঁর এইরূপ কাজের বিষয় কিছু জানতাম না। কোনও অভিযুক্তদের সঙ্গেই আমার কোনও যোগাযোগ নেই।" এই সমস্ত বয়ানের ভিত্তিতে আদলতে আরিয়ানের জামিনের আবেদন করেন সতীশ মানশিণ্ডে।
আরও পড়ুন: যশের সঙ্গে খুশি আছেন নুসরত! প্রেমিকের ছবি শেয়ার করে জানালেন নায়িকা
আইনজীবীর বলেন, "অর্চিত একমাত্র ব্যক্তি যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। আমার সব কথোপকথন হেফাজতে আছে, সব কিছু ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে। গত দুই রাত আরিয়ানকে এনসিবি কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। সম্ভবত বাকি অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে ব্যস্ত তারা। তাঁদের কি আরিয়ানকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন? কারণ আপনি যখন কাউকে গ্রেপ্তার করেছেন, তার মানে তিনি অভিযুক্ত। যদি সে কাজটা করতো, তাহলে সে হয়তো স্বীকারোক্তি করত এবং তাঁর কাছ থেকে কিছু পাওয়া যেত। এখানে ১০০ জন অফিসার আছেন, কাউকেই রিমান্ডে নেওয়া যাবে না শুধু জিজ্ঞাসাবাদের কারণে। গত সাত দিনে তারা কিছুই পায়নি। প্রথম দিন আমায় কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। এখন যদি তা না হয়, তাহলে হেফাজতের কী লাভ?"