দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান হয়ে, আজই (৯ মার্চ) সাত পাকে বাঁধা পড়বেন দুর্নিবার সাহা (Durnibar Saha) ও ঐন্দ্রিলা সেন (Oindrila Sen)। সকাল থেকে ব্যস্তরা দু'বাড়িতে। তারই মাঝে ফটোসেশনে মাতলেন বর- কনে দু'জনে। যদিও সোশ্যাল প্রোফাইল থেকে এখনও ছবি, ভিডিও শেয়ার করেননি নিজেরা। তবে নেটমাধ্যমে ঘুরছে পরিবার- পরিজনের শেয়ার করা গায়ে হলুদের ছবি।
নানা বিতর্ক- আলোচনার পর দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন দুর্নিবার। পাত্রী প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সহকারী- মোহর (Mohor)। হলুদ পঞ্জাবিতে সেজেছেন সঙ্গীতশিল্পী। অন্যদিকে পাত্রীর পরনে হলুদ শাড়ি ও ম্যাচিং ব্লাউজ। মেহেন্দি হাতে শাঁখা -পলা ও গায়ে হালকা সোনার গয়না পরেছেন ঐন্দ্রিলা। দু'জনের মুখেই যেন সাফল্যের শান্ত হাসি।
'দুর্নিমোহর' (DurniMohor)-র বিয়ের আসর বসবে হোটেল হিন্দুস্থান ইন্টারন্যাশনাল-এ। ১১ মার্চ রিসেপশন হবে দক্ষিণ কলকাতা সংসদ, ডিকেএস ক্লাবে। বিয়ের প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ প্রস্তুতি হয়ে গিয়েছে বলেই জানিয়েছেন হবু বর- দুর্নিবার। আত্মীয়- পরিজনদের নিমন্ত্রণ করছেন বাবা-মায়েরাই। অন্যদিকে বন্ধু- বান্ধবদের নিমন্ত্রণ করছেন বর- কনে।
আরও পড়ুন: TRP বাড়াতে ৩ ধারাবাহিকের গল্প চুরি? অভিযোগ উঠল 'মিঠাই'-র বিরুদ্ধে
গত কয়েকদিন ধরেই 'ব্রাইড-টু-বি'-এর সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইলে উঁকিঝুঁকি মাড়লেই চোখে পড়েছে হবু বরের সঙ্গে আদুরে নানা মুহূর্ত। কখনও আবার শেয়ার করেছেন প্রেমের কবিতার লাইন। যদিও এবিষয় কিছুটা গোপনীয়তা রাখছেন দুর্নিবার। কিছুদিন আগে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়ে সবিস্তারে জানিয়েছিলেন জুটি।
আরও পড়ুন: মহিলা বলে কখনও ইন্ডাস্ট্রিতে এক্সট্রা সুবিধা নিইনি: শ্রুতি
ইন্ডাস্ট্রির অতি পরিচিত নাম মোহর। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত জনসংযোগ আধিকারিক তিনি। তাঁর কাছে বিয়েটা 'রঙিন অনুষ্ঠান'। তাই ধুমধাম করেই বিয়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। কীভাবে প্রেম হল? কে কাকে প্রপোজ করল? মোহর সংবাদমাধ্যমকে জানান, "২০২১-র ডিসেম্বরে সামপ্লেস এলসে একটা শো শুনতে যাই। সেখানে ও গাইছিল। পরিচয় হয়, ফোন নম্বর আদানপ্রদান হয়নি। দু' মাস পরে একটা ট্রেলার লঞ্চে আবার দেখা, তখন আমি দুর্নিবারকে জিজ্ঞাসা করি পার্কস্ট্রিটের সেই পাবে যাবে কি না। ও আমার কাছে জানতে চায় 'লক্ষ্মীছাড়া'-র শোয়ে যাব কি না।"
আরও পড়ুন: নতুন বাংলা থ্রিলারে আবীর- মিমি, ভিক্টর-অনুসূয়া! আসছে 'রক্তবীজ'
দুর্নিবারের কথায়, "আমরা ঠিক করি 'লক্ষ্মীছাড়া-র শোয়েই যাব। আমি পৌঁছে যাই। শোয়ে মোহরের পৌঁছাতে দেরি হলে, ওকে ফোন গান শোনাতে শুরু করি। সে ভাবেই ও এসে পৌঁছায়। তখন আমরা দু'জন, দু'জনের উপর একটা টান অনুভব করেছিলাম। সেই রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে দিই"।
আগের বিয়ে, সম্পর্ক ভেঙে, নতুন পথ চলা প্রসঙ্গে দুর্নিবার বলেন, "একাধিকবার বিভিন্ন সম্পর্কে জড়ানোর পর এবং কিছু কিছু সম্পর্ক যে ঠিক নয় বারংবার সেটা বোঝার পর, শেষ পর্যন্ত একটা জায়গায় এসে মনে হল এতদিনে আমার হাতটা শক্ত করে ধরে রাখছে কেউ... মোহর আমার জীবনের সেই মানুষটা। একটা সম্পর্কে এতটা ঠিক কোনওদিন মনে হয়নি নিজেকে।"
আরও পড়ুন: বাংলায় ফের অরিজিৎ ম্যাজিক! কনসার্টের টিকিটে অগ্নিমূল্য, চাহিদা তুঙ্গে
প্রসঙ্গত, গত বছরের মাঝামাঝি সময় বিচ্ছেদের খবর শোনা যায় দুর্নিবার সাহা ও মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। সে সময় বিচ্ছেদের কারণ হিসাবে মনে করা হয়, তৃতীয় ব্যক্তির কথা। দুর্নিবারের জীবনে নতুন প্রেমই নাকি, মীনাক্ষীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কে ফাটল ধরার কারণ। যদিও একথা সঠিক নয় বলে দাবি করেন নতুন জুটি।
আরও পড়ুন: ব্যান্ডেজে ঢাকা চোখ, 'বাঘা যতীন'-র শ্যুটিং চলাকালীন আহত দেব
দুর্নিবার- মীনাক্ষীর কাছাকাছি আসাও কিছুটা রূপকথার মতই ছিল। রিয়্যালিটি শোয়ের মঞ্চে দেখেই দুর্নিবারের প্রেমে পড়েছিলেন মীনাক্ষী। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলাপ ও একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তাঁরা। প্রায় দু'বছর প্রেম করার পর ২০১৭ সালে আইনি বিয়ে সেরে ফেলেছিলেন এই জুটি। এরপরে দু'জনে এক সঙ্গেই থাকতেন তাঁরা। গত বছর ২১ ফেব্রুয়ারি গাঁটছড়া বাঁধেন জুটি। নিউ টাউনের স্বপ্নভোর-এ বসেছিল দুর্নিবার-মীনাক্ষীর বিয়ের আসর। বিয়ে বাড়িতে কার্যত বসেছিল চাঁদের হাট।