scorecardresearch
 

Koneenica Banerjee: শিরদাঁড়ায় অস্ত্রোপচারের পর এখনও সম্পূর্ণ কণ্ঠস্বর ফেরেনি কণীনিকার! নিজেই শোনালেন কঠিন লড়াইয়ের গল্প

Koneenica Banerjee: দিব্যি সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু তার মাঝেই ছন্দপতন। হঠাৎই অসুস্থ হলেন কণীনিকা। শিরদাঁড়ায় সমস্যা হওয়ায়, ধারাবাহিক থেকে কয়েক দিনের বিরতি নিয়ে তিনি তড়িঘড়ি চেন্নাই উড়ে যান অস্ত্রোপচারের জন্য।     

Advertisement
অভিনেত্রী কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনেত্রী কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়

দীর্ঘ ৪ বছরের বিরতির পর 'আয় তবে সহচরী' ধারাবাহিকের (Aay Tobe Sohochori Serial) মাধ্যমে ফের ছোট পর্দায় ফিরেছিলেন কণীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Actress Koneenica Banerjee)। পর্দায় সহচরী রূপে ফের দর্শকদের মন জয় করেছিলেন অভিনেত্রী। দিব্যি সব ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু তার মাঝেই ছন্দপতন। হঠাৎই অসুস্থ হলেন কণীনিকা। শিরদাঁড়ায় সমস্যা হওয়ায়, ধারাবাহিক থেকে কয়েক দিনের বিরতি নিয়ে তিনি তড়িঘড়ি চেন্নাই উড়ে যান অস্ত্রোপচারের (Spine Surgery) জন্য।     

এরই মাঝে টেলিপাড়া সূত্রে শোনা যায় শেষ হচ্ছে 'আয় তবে সহচরী' (Aay Tobe Sohochori)। কারণ এখনই শ্যুটিংয়ে ফিরতে পাচ্ছেন না বরফির সই মা অর্থাৎ কণীনিকা (Koneenica Banerjee)। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় থাকেন অভিনেত্রী। তবে অসুস্থতার জেরে মাস খানেক খুব কমই পোস্ট দেখা গেছে তাঁর। বুধবার ফেসবুক লাইভে এসে নিজের দুঃসাহসিক জার্নির কথা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। সকলকে জানালেন, কীভাবে লড়াই তিনি জারি রেখেছেন সকলের মুখ চেয়ে। 

আরও পড়ুন: গণেশ পুজোয় নতুন সূত্র পাবে সিড! মিঠায়ের গোপাল 'হেলেপ' করবে?

এদিন কণীনিকা বলেন, "আমার স্পাইন সার্জারি হয়েছে। সি সিক্স সি সেভেনে, স্পাইন প্রোল্যাপস করে গিয়েছিল। যেটা মেজর সার্জারি ছিল। ডা. সিদ্ধার্থ ঘোষ আমার সার্জারি করেছেন। আট বছর আগে উনিই  আমার প্রথম সার্জারি করেছিলেন। তবে এইবার সার্জারিতে আমার ভয়েসটা পুরো ফেরত আসেনি। এখন হাসছি ঠিকই, কিন্তু মাঝে আমার অবস্থা একদম ভাল ছিল না। আমার গলা দিয়ে কোনও আওয়াজ বেরোচ্ছিল না, শুধু হাওয়া বেরোচ্ছিল। আমি কথা বলতে পারছিলাম না।" 

আরও পড়ুন: দেব-আবির-প্রসেনজিৎ থেকে শুভশ্রী! পুজোয় মুক্তি পাচ্ছে একগুচ্ছ বাংলা ছবি

অভিনেত্রী আরও বলেন, "আমার বাবা, মা, স্বামী, মেয়ের মানসিক অবস্থা খারাপ ছিল। দীর্ঘ প্রচেষ্টায় অল্প ফেরত এসেছে। আমি কথা বলতে পারছি এখন, কিন্তু পুরোপুরি আসেনি। কথা বলা এখন একদমই মানা। পাঁচ মিনিটের বেশি কথা বলা যাবে না। আমি অভিনয় শেখাই, যেখানে ভয়েস মডুলেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ভাগ্যবশত আমার ভয়েসের একটা অংশ ফেরত আসেনি। এটা কতটা মানসিক চাপের, যাদের সঙ্গে হয় তারাই জানেন। আশা করি আগামী দু-মাসে বাকিটা ফেরত আসবে।" 

Advertisement

আরও পড়ুন: মিঠাইরাণীর প্রিয় রং গোলাপি? সৌমিতৃষার ওয়ারড্রব যা বলছে...

'আয় তবে সহচরী' প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "সকলেই জানো সহচরী বন্ধ হচ্ছে। এই গলা নিয়ে অভিনয় হয় না, সেটা আমি চ্যানেলকে জানাই। ওরা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আমি নিরুপায়... আমি হাঁটতে চলতে পারছি এটাই আমার কাছে বড় পাওয়া। ভয়েস যে ফেরত আসেনি সেটা আমার দুর্ভাগ্য বলব না। কারণ আমি বরাবরই লড়াই করেছি। এটাও আমার কাছে একটা লড়াই। একজন শিল্পীর যদি গলা না থাকে সেটা সাংঘাতিক। কারণ শিল্পীরা তাঁদের গলার আওয়াজ পরিবর্তন করে অনেক কিছু করতে পারে।" 

 

 

আরও পড়ুন: মহালয়ায় কালী- শ্রুতি, ভুবনেশ্বরী- অদ্রিজা! দশমহাবিদ্যার অন্যান্য রূপেও চমক

আগেবপ্রবণ অভিনেত্রীর কথায়, "আমার গুরুজনেরা সবাই পাশে আছে বলে ইমোশনাল জায়গাটা ঠিক আছে। তাড়তাড়ি ফেরত আসব, লড়ে যাচ্ছি। আমার ফিজিওথেরাপি চলছে, ভয়েস থেরাপি চলছে। যতদিন না ফিরে আসতে পারি, মাঝে মাঝে লাইভে আসব। অনেকগুলো দিন অপেক্ষা করছিলাম লাইভে আসার জন্য। আমার প্রচুর কাজ করা মানা, তার উপর কথা বলতে পারছি না। যেভাবে দর্শকেরা আমার পাশে ছিল, বাংলাদেশ থেকে দোয়া করেছে, আমি সত্যি কৃতজ্ঞ। আমি খুব ভাল আছি বলব না, দুর্বলতা আছে। " 

 

Advertisement