Visva-Bharati University and Calcutta High Court: 'খোশগল্প' নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)-এ। এই বিষয়ে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
আরও পড়ুন: এক চার্জেই কলকাতা থেকে গঙ্গাসাগর, কামাল মহিন্দ্রা Treo-র
একটি শব্দ। 'খোশগল্প' নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল' বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)-এ। মামলাও হয় বিশ্বভারতীর এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। আর সেই মামলাতে বিশ্বভারতীকে এবার দশ হাজার টাকা জরিমানা করল হাইকোর্ট (Calcutta High Court)।
আরও পড়ুন: শিশুকে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচাতে নজর দিন এই ৫ দিকে, চনমনে থাকবে সন্তান
খোশগল্প শব্দটি কি মহিলাদের প্রতি অসম্মানজনক, অশালীন? তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)-এ।
আরও পড়ুন: ভারতে রোজ ২২৯ ব্যাঙ্কিং ফ্রড, ৭ বছরে উধাও ৬ লক্ষ কোটি টাকা, আপনার অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত?
বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানকার অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্বভারতী।
আরও পড়ুন: ইকো-পার্ক-চিড়িয়াখানা ৩০, জাদুঘর ৫০, বাকি জায়গায় খরচ কেমন?
কমিটির সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করারা সময় অভিযোগ ওঠে কমিটির সদস্যদের সামনে খোশগল্প শব্দ ব্যবহার করেন অধ্যাপক।
আরও পড়ুন: বড়দিন থেকে বাড়ছে মেট্রোর সংখ্য়া, ভিড় সামলাতে এই ব্য়বস্থা
ওই কমিটির এক সদস্য ছিলেন এক মহিলা। এর পরেই তাঁর বিরুদ্ধে মহিলাদের প্রতি অশালীন মন্তব্য করার অভিযোগ তুলে তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করে বিশ্বভারতী (Visva-Bharati University) কর্তৃপক্ষ।
পাল্টা ওই অধ্যাপক কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)-এর বিচারপতি রাজশেখর মান্থা সেই মামলার শুনানিতে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, বাংলা শব্দকোষ অনুযায়ী কোনও মতেই খোশগল্প শব্দটিকে মহিলাদের প্রতি অশালীন হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে, এমনটা ধরা যাচ্ছে না। উল্টে মনে করা হচ্ছে, বেশ মজাদার গল্প করার এটা একটি রূপক।
ফলে বিশ্বভারতী যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলে কমিটি করে যে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
বিশ্বভারতী ইউনিভার্সিটি ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্যর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বভারতীর সুনাম নষ্ট করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একটি কমিটি গঠন করা হয়।
২০২০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ স্থগিতাদেশ জারি করে বিশ্বভারতীকে তিন সপ্তাহ সময় দেয় হলফনামা জমা দেওয়ার জন্য।