এরাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার বলি হচ্ছে বিরোধী দলগুলি। নিয়মিত তাঁদের নেতা-কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। খুনও হয়েছেন প্রচুর দলীয় নেতা। এমন অভিযোগ বরাবর তুলে আসছে বিজেপি শিবির। জনসভায় বা সাংবাদিক বৈঠকে সেই নিয়ে তথ্য দিতেও দেখা গেছে বিজেপি নেতাদের। রাজ্যে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে এই নিয়ে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। নিয়মিত তাঁকে এই নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা যায়। এমনকি দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট জমা দিতে দিল্লি উড়ে যেতেও দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালকে। এবার ভোট ঘোষণা হতে এরাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তাতে বাংলা ভয়াবহ রাজনৈতিক হিংসার ছবি তুলে ধরেছে অমিত শাহের মন্ত্রক।
আদর্শ নির্বাচন বিধি চালু হয়ে গেছে রাজ্যে
গত শুক্রবার বাংলায় ভোটের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আদর্শ নির্বাচন বিধি চালু হয়ে গিয়েছে। আদর্শ আচরণবিধি সমগ্র রাজ্যজুড়েই বলবৎ হয়েছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলকেই কমিশনের এই বিধি মেনে চলতে হবে। অবাধ, সচ্ছ্ব ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্যই আদর্শ নির্বাচন বিধি লাগু করে কমিশন। নির্বাচনের উদ্দেশে ব্যহহৃত সরকারি মেশিনারির অপব্যবহার যাতে না হয়, তাও নিশ্চিত করে কমিশন। ভোট সংক্রান্ত অপরাধ, অসদাচরণ, ভোটারদের উস্কানি, ঘুষ, হুমকি বা ভয় দেখানোর মতো দুর্নীতি যাতে না ঘটে তাও নিশ্চিত করার দায়িত্ব কমিশনের। এই আবহেই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসার পরিস্থিতি কমিশনের কাছে জাম দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
হিংসা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের রিপোর্ট
বাংলা নিয়েই সবচেয়ে চিন্তিত কমিশন
ভোটের দিন ঘোষণার সময় বাংলার আইন-শৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত থাকতে দেখা গিয়েছিল নির্বাচন কমিশনকে। অসমে ৩ দফায় নির্বাচন হচ্ছে। বাকি তামিলনাড়ু, কেরল ও পুদুচেরিতে এক দফায়। কিন্তু বাংলায় ৮ দফায় নির্বাচনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। সেই সময় এরাজ্যের আইন-শৃ্ঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল সুদীপ জৈনকে।