Summer Fruits : আম-তরমুজ ফ্রিজে রাখলে লাভের বদলে ক্ষতিই বেশি, কারণ জানেন?

Summer Fruits: গরম এলেই মানুষ ফ্রিজে খাবার জমা রাখতে শুরু করে। তারা মনে করে যে বাইরে থাকার কারণে জিনিসগুলি পচে যেতে পারে। এবং ফ্রিজে রাখলে সেগুলি দীর্ঘ সময়ের জন্য রাখা যেতে পারে। কিন্তু এই মরশুমে কি সব কিছু ফ্রিজে রাখা দরকার? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু জিনিস ফ্রিজে রাখলে শুধু স্বাদই বদলে যায় না, আমাদের শরীরের নানাভাবে ক্ষতিও করে।

আম এবং তরমুজ গরমকালে সবচেয়ে বেশি খাওয়া ফল এবং বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই দু'টি ফলই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। এই বিষয়টা আপনাদের অনেককেই অবাক করবে। আসুন এখন আপনাদের বলি কেন এই ফলগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয় এবং আমাদের স্বাস্থ্যের কী কী ক্ষতি হতে পারে।

বিখ্যাত ডায়েটিশিয়ান এবং 'দ্য বিটিং ট্রুথ'-এর প্রতিষ্ঠাতা অ্যালেক্স পার্কার জানিয়েছেন যে আম এবং তরমুজের মতো ফল গরমে ফ্রিজের বাইরে রাখা উচিত। কারণ কম তাপমাত্রায় এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। কাটা আম ও তরমুজ একেবারেই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।

আরও পড়ুন: পোস্ট অফিসে কোন স্কিমে কত সুদ মিলছে, জেনে নিন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরমুজ ইথিলিনের প্রতি বিশেষভাবে সংবেদনশীল। এটা একটা হরমোন। যা ফল এবং শাকসবজি পাকলে নিঃসৃত হয়। এই হরমোন অন্যান্য ফল এবং সবজির গুণমানকেও প্রভাবিত করতে পারে। তাই রান্নাঘরেও অন্যান্য খাবার থেকে এই জিনিসগুলিকে দূরে রাখতে হবে।

ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ)-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, তরমুজ, ক্যান্টালুপ বা আমের মতো ফল ঘরের তাপমাত্রায় রাখা ভাল অপশন। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের জন্য ভাল। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

ফলের রঙ ও স্বাদ- গ্রীষ্মকালে মানুষ বাজার থেকে আম ও তরমুজ এনে ধুয়ে ধুয়ে সরাসরি ফ্রিজে রাখে। এতে ফলের স্বাদ নষ্ট হয়। তাই এই ফলগুলো কিছুক্ষণ ফ্রিজে রাখতে চাইলে কেটে ফেলতে ভুল করবেন না। এটা 'চিল ইনজুরি' হতে পারে। যা ফলের রঙ এবং স্বাদ উভয়ই পরিবর্তন করে।

আমের উপকারিতা- আম ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। যা রক্তনালী এবং স্বাস্থ্যকর কোলাজেনের বিকাশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। ভিটামিন সি শরীরকে দ্রুত ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আম আমাদের শরীরকে অনেক বড় রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে।

আমের হলুদ ও কমলা অংশে বিটা ক্যারোটিন পাওয়া যায়। আমে পাওয়া অনেক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের মধ্যে বিটা ক্যারোটিন অন্যতম। আমে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে ফ্রি র‌্যাডিক্যালের বিরুদ্ধে লড়াই করে। যা ক্যান্সারের বৃদ্ধির জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়।

আরও পড়ুন: এবার উল্টে দিকে হাঁটুন! শরীর-মন হয়ে উঠবে ফুরফুরে, জবরদস্ত ফায়দা

আরও পড়ুন: যেন সিনেমার দৃশ্য! ক্রেতা সেজে বেআইনি হুক্কা বারে অভিযানে পুলিশ, ধৃত ৫
 

তরমুজের উপকারিতা- তরমুজে উপস্থিত লাইকোপিন এবং বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ যৌগের ক্যান্সার প্রতিরোধী গুণ রয়েছে। লাইকোপিন অনেক ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে শরীরকে রক্ষা করে। পাচনতন্ত্রের ক্যান্সার এবং লাইকোপিনের মধ্যে একটি শক্তিশালী সম্পর্ক লক্ষ্য করা গেছে। এতে ভিটামিন সি-এর মতো অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি অক্সিডেন্টও রয়েছে।