Deucha Pachami Project:: "খোলামুখ কয়লা খনি প্রকল্প চাই না।" হাতে তির-ধনুক নিয়ে জেলাশাসককে এলাকায় ঢুকতে বাঁধা দিলেন আদিবাসীরা। সোমবার এমনই ছবি দেখা গেল।
সরকারি পাট্টা ও চেক বিতরণ করে জমি অধিগ্রহণের জন্য এদিন গিয়েছেল বীরভূম জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার-সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তবে সে কাজ সারা যায়নি। কারণ তাঁরা আদিবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। ফলে ফিরে আসতে হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন: আইসিএসআই-তে সিভিল ইঞ্জিনিয়রের চাকরি, বেতন ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত
আরও পড়ুন: আধার কার্ড এবার হাসপাতালেই মিলতে চলেছে, উদ্যোগী UIDAI
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম খোলামুখ কয়লা খনি হতে চলেছে বীরভূমের দেউচা-পাঁচামি। কিন্তু এখানে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছে। এখানে খনি প্রকল্প করতে গেলে উচ্ছেদ করতে হবে বহু গ্রাম।
এই অঞ্চলে অধিকাংশ গ্রাম আদিবাসী প্রভাবিত। তাই জমি অধিগ্রহণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেও আদিবাসীদের একটা বড় অংশ জমি দিতে নারাজ। স্থানীয় সূত্রে এমনই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দু'দিকে মুখ করে থাকা দু'টো উট একসঙ্গে খেতে পারবে?
আরও পড়ুন: 'পরচর্চা মহিলাদের কাজ,' শুভেন্দুকে বিঁধতে গিয়ে বিতর্কে ফিরহাদ
অনিচ্ছুক জমিদাতারা প্রথম থেকেই 'বীরভূম জমি জীবন জীবিকা ও প্রকৃতি বাঁচাও মহাসভা' মঞ্চ বানিয়ে আন্দোলন করে আসছে।
এদিন সরকারি চেক ও পাট্টা বিতরণ কর্মসূচি ছিল। যার মধ্য দিয়ে কয়লা খনির জন্য জমি অধিগ্রহণ করার কথা।
এই জন্য বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায়, পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী সহ প্রশাসনের আধিকারিকেরা গিয়েছিল দেউচা-পাঁচামি।
আরও পড়ুন: উ অন্তভা-র কোরিওগ্রাফার নাচলেন 'কাঁচা বাদাম'এ , Video Viral
মথুরাপাহাড়ি গ্রামে হাতে তির-ধনুক নিয়ে প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের পথ আটকায় গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, কয়লা খনি প্রকল্প হবে না, এমনটা লিখিত ভাবে জানাক সরকার। মৌখিক কথা শুনব না। এক কথায় প্রকল্পের জন্য জমি দিতে নারাজ আদিবাসীদের একটা বড় অংশ।
প্রসঙ্গত, এই জট কাটাতে সদ্য আদিবাসী নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।