Aadhaar Card Updates: এখন আমাদের জীবনে আধার কার্ড (Aadhaar Card) এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হয়ে দাঁড়িয়েছে। আধার কার্ড (Aadhaar Card) ছাড়া অনেক কাজ করা করা যায় না। এ কথা বললে ভুল বলা যাবে না।
সদ্যোজাত শিশুকে হাসপাতালেই কার্ড
হাসপাতলে সদ্যোজাত শিশু যাতে আধার কার্ড (Aadhaar Card) পেয়ে যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবে হাসপাতলে শিশুদের আধার কার্ড (Aadhaar Card) বানানোর পরিষেবা এখনো পর্যন্ত চালু করা হয়নি। এখন নিয়ম হল হাসপাতালে ডিসচার্জ স্লিপ থেকে সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড বানানো যেতে পারে।
আর সে কারণে ওই জিনিসটা নিয়ে আধার সেন্টারে হাজির হতে হয়। তবে পরিকল্পনা করা হচ্ছে যে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই সে কাজ যাতে সম্পন্ন করা যায়।
কমবে চিন্তা
অর্থাৎ পূর্ণ আধার কার্ড (Aadhaar Card) যাতে তাকে দিয়ে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে ভাবনা-চিন্তা করা হচ্ছে। সেখানে বায়োমেট্রিক তথ্যও রাখা যেতে পারে। ইতিমধ্যে ওই কাজের ব্যাপারে আলাপ-আলোচনা শুরু করে দেওয়া হয়েছে। বার্থ রেজিস্ট্রারের এর সঙ্গে মিলে হাসপাতালে আধার কার্ড (Aadhaar Card) দেওয়ার কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে। সেই পদ্ধতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগানে মেহগনি লাগিয়ে কয়েক বছরে হয়ে যান কোটিপতি, জানুন কীভাবে
আরও পড়ুন: Google Maps-এর এই ফিচার ধরিয়ে দিল ইটালির মাফিয়াকে, বিশ সাল বাদ
অনেক সুবিধা
এমনটা হলে মানুষের অনেক সুবিধা হবে। তাঁরা হাসপাতাল থেকেই শিশুদের আধার কার্ড পেয়ে যাবেন। সেজন্য তাঁকে আর নতুন করে কোথাও যেতে হবে না।
ছবি তুলেই আধার
আধার কর্তৃপক্ষ (UIDAI) সূত্রে জানানো হয়েছে, ভারতে রোজ প্রায় আড়াই কোটি শিশু জন্মগ্রহণ করে। তাই তাদের পরিকল্পনা যে হাসপাতালে যারা জন্মাচ্ছে, সেইসব শিশুর ছবি তুলে সঙ্গে সঙ্গে আধার কার্ড দিয়ে দেওয়া যায়।
এর ফলে শিশুর মা-বাবা অনেকটাই সুবিধা পাবেন। তাঁদের সময় বাঁচবে। এই কাজ করার জন্য বার্থ রেজিস্ট্রারে সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এবং খুব তাড়াতাড়ি এ ব্যাপারে এক বড়সড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এখন পাঁচ বছর বয়সের কোনও শিশুর জন্য আধার কার্ডে কোনও বায়োমেট্রিক তথ্য দরকার পড়ে না। তবে তার বয়স ৫ বছর বা তার বেশি হয়ে গেলে তখন বায়োমেট্রিক করানো অনিবার্য হয়ে যায়।
আঞ্চলিক ভাষাতেও তৈরি হবে আধার
কর্তৃপক্ষ (UIDAI)-এর তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষায় তৈরি হবে আধার কার্ড। আপাতত আমাদের দেশেই হিন্দি এবং ইংরেজিতে আধার কার্ড হয়। সেখানে ওই দুই ভাষায় কার্ডধারীর তথ্য থাকে।
তবে সেই পরিধি আরও বাড়ছে বলে খবর। পাঞ্জাবি তামিল-তেলেগু মারাঠির মতো আঞ্চলিক ভাষায় কার্ড ধারকের নাম এবং অন্যান্য ডিটেলস থাকবে। খুব তাড়াতাড়ি এটা চালু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।