Covid: করোনায় রাজ্যের দু'কোটিটি বই নষ্ট হয়েছে। নষ্ট বইয়ের বিকল্প কপি ও ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করতে চাইছে গ্রন্থাগার দপ্তর। সোমবার শিলিগুড়িতে এ কথা জানান রাজ্যের গ্রন্থাগার এবং জনশিক্ষা প্রসারমন্ত্রী
বন্ধ পাঠাগার
করোনার জেরে টানা দু'বছর রাজ্যের সমস্ত গ্রন্থাগার বন্ধ থাকার ফলে উইপোকায় খেয়ে নষ্ট করেছে প্রায় দু'কোটি বই। তবে করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই এখন মাথায় হাত রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার দপ্তরের।
আরও পড়ুন: বীরভূমে হইহই, দাপাচ্ছে যুদ্ধের ট্যাঙ্ক, তবে কারণটা বেশ মজাদার
১০ কোটির বই
এর ফলে ক্ষতি হয়েছে প্রায় প্রায় আট থেকে দশ কোটি টাকা। শুধু তাই নয় এই বইগুলোর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু পুরনো ঐতিহাসিক বইও। বর্তমানে এই বইয়ের বিকল্প কপি খুঁজছে দফতর।
আরও পড়ুন: ভেনিসে সমুদ্রের নীচে মিলল ২ হাজার বছরের প্রাচীন রাজপথ
মারন রোগ করোনার প্রকোপ বিশ্বে থাবা বসতেই গোটা দেশ লোকডাউন হয়ে যায়। এতেই রাজ্যের সমস্ত গ্রন্থাগার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার।
আরও পড়ুন: এই মাছের ৫৫৫টি দাঁত! রোজ ২০টা ভাঙে আবার গজায়...
হয়নি সাফাই
তবে এই গ্রন্থাগার বন্ধের নির্দেশিকা দেওয়ার সাথে সাথে দপ্তরের তরফে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল, অন্তত ১৫ দিন পরপর গ্রন্থাগার খুলে পরিস্কার করতে হবে। তবে দফতরের নির্দেশ অনেক গ্রন্থাগার কর্মী পালন করেনি বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন: SRFTI-তে বসতে চলেছে সত্যজিৎ রায়ের মূর্তি, জন্মশতবর্ষে শ্রদ্ধা
যার ফলে কোনো রকম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়নি গ্রন্থাগার গুলিতে। আর এতেই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গ্রন্থাকারে থাকা বই গুলির। তবে সংক্রমণ কমে আসায় ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেছে রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলি।
আরও পড়ুন: ধান-ধনুক আর নাচ-গানে বাংলার মেয়েদের কার্তিক পুজো, লোকগানে লুকিয়ে সে ইতিহাস
পাঠকদের ফের ফেরাতে বইমেলার আয়োজন করছে রাজ্য সরকার। একইসঙ্গে যে সমস্ত বই গ্রন্থাগারে থাকায় উইপোকায় খেয়ে নষ্ট করেছে, সেই সব বইগুলির তালিকা তৈরি করা শুরু করেছে দফতর।
ডিজিটালে জোর
অন্যদিকে, যে বইগুলি নষ্ট হয়েছে বইগুলোকে ডিজিটালের মাধ্যমে ই-বুক পরিষেবায় পাঠকদের জন্য তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এই নষ্ট বইয়ের মধ্যে সবথেকে বেশি বই নষ্ট হয়েছে পুরুলিয়া জেলায়। ওই জেলায় প্রায় ৭০ হাজার বই নষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় পতাকায় পরিবর্তন চেয়েছিলেন সত্যজিৎ, কারণ জানেন?
করোনার পর গ্রন্থাগারগুলির হাল ফেরাতে জেলা প্রতি দু'কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। সোমবার শিলিগুড়িতে ১১তম শিলিগুড়ি মহকুমা বইমেলার আয়োজন করে শিলিগুড়ি মহকুমা গ্রন্থাগার দফতর।
শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্কে এদিন এই বইমেলার সূচনা হয়। প্রদীপ জ্বালিয়ে মেলার সূচনা করেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব-সহ বিশিষ্টরা।
এদিন সংবাদ মাধ্যমে রাজ্যের জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, "করোনার সময় গ্রন্থাগার বন্ধ থাকায় দু'কোটি বই নষ্ট হয়েছে। প্রত্যেক জেলার গ্রন্থাগার আধিকারিকদের যেসব বই নষ্ট হয়েছে সেগুলির তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে সেইসব বই ফের কেনা হবে বা সেগুলোকে ডিজিটাইজেশন করা হবে।"
অন্যদিকে তিনি এদিন আরও জানান, বর্তমানে কর্মীর অভাবে রাজ্যের প্রায় ৩৫০টি গ্রন্থাগার বন্ধ। তবে মুখ্যমন্ত্রী কর্মী নিয়োগে অনুমতি দিতেই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। সারা রাজ্যে ৭৩৭ জন নতুন কর্মী নিয়োগ করবে দফতর।