বেঁফাস মন্তব্য করার জন্য সুনাম রয়েছে বিজেপির রাজ্য সবাপতি দিলীপ ঘোষের। কম যান না তাঁর সহকর্মী সায়ন্তন বসুও। রাখির দিন ফের একবার বিস্ফোরক মুডে পাওয়া গেল রাজ্য বিজেপির এই নেতাকে। গত শুক্রবারই দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন বাংলায় তালিবানি শাসন চলছে। আর বিজেপির রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসু রবিবার কারও নাম না নিয়েই বললেন, কালীঘাটে রয়েছেন 'লেডি তালিবান'। যা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সায়ন্তর রবিবার অভিযোগ করেন, কেবল দাঁতন নয়, সারা রাজ্যেই খুন ও অত্যাচার চলছএ বিরোধীদের ওপর। বাংলাতেও চলছে তালিবানি শাসন। এরপরেই নাম না করে বিজেপি নেতা বলেন, 'লেডি তালিবান দেখতে চাইলে বাংলায় আসুন। টিকিট কেটে কাবুলে যাওয়ার দরকার নেই। কালীঘাটেই দেখা মিলবে।' এরপরেই বিজেপি নেতা বলেন, আমি পরামর্শ দিচ্ছি তৃণমূল নেতৃত্ব আফগানিস্তানে গিয়েও রাখি উৎসব সেলিব্রেট করুক।
ফের মুকুল রায় (Mukul Roy) এর কথায় অসঙ্গতি। তাঁর কথায় বারবার ফিরে ফিরে আসছে ভারতীয় জনতা পার্টির কথা। ‘কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) উত্তরে ফের ভোট (Election) হলে বিজেপি (BJP) বিপুল ভোটে জিতবে(Win) এবং তৃণমূল (TMC) পর্যদুস্ত (Lose) হবে’ কিছুদিন আগে এমনই এক মন্তব্য করছেন তিনি। তারপরেই আজ আবারও তিনি বললেন, “কৃষ্ণনগরে বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়ালে জিতবো, তৃণমূলের হয়ে দাঁড়ালে কি হবে তা মানুষ ঠিক করবে”। ফের একবার মুকুল রায়ের এরকম মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
শনিবার রাত থেকে বৃষ্টির কারণে খড়গপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল জমেছিল। রবিবার সকালে নিজের সাংসদ এলাকা খড়গপুর শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জল জমেছিল। রবিবার সকালে নিজের সাংসদ এলাকা খড়গপুর শহরের ২ নং ওয়ার্ডে সেই পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি ৷ ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবার বিজেপির সুখরাজ কাউর৷ আর সেখানে গিয়েই মেজাজ হারালেন দিলীপবাবু। স্থানীয় মানুষেরা দিলীপ ঘোষের কাছে পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের অনুরোধ করলে রেগে যান স্থানীয় সাংসদ । এলাকাবাসী তাঁকে ঘিরে ধরে জানায়, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে জল যন্ত্রনায় ভুগছেন। তাতেই রীতিমতো মেজাজ হারিয়েই নিজের দলের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই শাস্তির নিদান দিলেন স্থানীয়দের। তিনি বলেন, "আমি সাংসদ কোটার টাকাও দেব, আর আপনাদের হয়ে পৌরসভার বিরুদ্ধে আন্দোলন-ও করব! আর, আপানারা কি বাড়িতে বসে ঘুমাবেন?যান গিয়ে আন্দোলন করুন, রাস্তা অবরোধ করুন।কাউন্সিলরের বাড়ির সামনের রাস্তা ঘেরাও করুন। তার বাড়ির সামনে গিয়ে মলত্যাগ করুন, বাড়ির সামনে কাদা ফেলে দিয়ে আসুন। তার বাড়ি থেকে বেরোনো বন্ধ করে দিন। যে ছোটো লোক, তার সঙ্গে ছোটো লোকের মতোই ব্যবহার করতে হবে ৷ দরকার পড়লে কাউন্সিলর-কে ল্যাম্প পোস্টে বেঁধে রাখুন।" জানা গেছে, ওই এলাকার কাউন্সিলর বিজেপি'র সুখরাজ কাউর। মহিলা কাউন্সিলর। দিলীপের এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, দিলীপ বাবু কি জানতেন না যে এই এলাকার কাউন্সিলর তাঁর দলেরই একজন মহিলা কর্মী! তিনি জানুন বা না জানুন এদিন খড়গপুর পৌরসভার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে এলাকার কাউন্সিলর সম্পর্কেও যেসমস্ত মন্তব্য তিনি করে বসেন, তা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে!
করোনার সংক্রমণ কমছে না। বরং তা বেড়েই চলেছে। এই সংক্রান্ত প্রমাণ এসেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) হাতে।
ফের একবার দিলীপ ঘোষের নিশানায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন মালদায় একটি সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গ উগ্রপন্থীদের গড়ে পরিণত হয়েছে, সরকার সব জেনেও তাদের গায়ে হাত দেয় না কারণ তারাই সরকারকে ভোটে জেতায়। পশ্চিমবঙ্গে সমাজবিরোধী ও সন্ত্রাসবাদীদের রক্ষাকর্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমাদের কাছে খবর আছে পশ্চিমবঙ্গে এখনো এরকম অনেক গ্রাম আছে যেখানে উগ্রপন্থীরা এসে মডিউল এবং নিউক্লিয়ার তৈরি করছে, এমনকি বাইরে ও যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা ধীরে ধীরে বাংলাদেশের মতো হয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি এদিন উত্তরবঙ্গ কে পৃথক কেন্দ্রশাসিত রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, আমি এই ধরনের দাবি মানিনা। বিজেপি এই ধরনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে বেনজির আক্রমণ করলেন শ্রীরামপুরের সাংসদ তথা তৃণমূল নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ হুগলির একটি সভা থেকে মোদীকে আক্রমণ করে কল্যাণ বলেন, 'মোদীর মতো অপদার্থ প্রধানমন্ত্রী এর আগে ভারতবর্ষ দেখেনি। ভোটে হেরে গেলেও ওদের লজ্জা নেই। দুই কান কাটা। অপদার্থ। ২৪-এর সবথেকে বড় নির্বাচনে মোদী হারবেন মমতার কাছে। মোদীর জনপ্রিয়তা কমে গিয়েছে। আপনারা আমার কথা মিলিয়ে নেবেন।'
একদিকে তৃণমূল ও বিজেপির লড়াই, অন্যদিকে ময়দানে বেশ খানিকটা জায়গা নিয়েছে সিপিএম ও বামফ্রন্টও। বিভিন্ন জায়গায় যুবদের ওপর ভরসা রেখেই দল সাজিয়েছেন তাঁরা। বালিতে দাঁড়িয়েছেন JNU-র নেত্রী দীপ্সিতা ধর। প্রচারের ফাঁকে কথা বললেন আজতক বাংলার সঙ্গে। দেখুন।
ফের বিতর্কে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বান্দোয়ানে এক সভায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে কিছু মন্তব্য করেন। পোশাক নিয়ে কথা বলেন। এ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।