
২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছিল CPIM-এর বাংলা বাঁচাও যাত্রা। কোচবিহার থেকে শুরু করার পর বেলঘরিয়ায় এসে শেষ হয়েছে এই যাত্রা। নির্বাচনের ঠিক আগে এই যাত্রায় এলাকায় এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছতে চেয়েছে সিপিআইএম। কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মাপছেন, মেরুকরণের রাজনীতির মধ্যে CPIM-কে অক্সিজেন দিতে পারে বাংলা বাঁচাও যাত্রা? সিপিআইএম নেতারা এ প্রসঙ্গে কী বলছেন? খোঁজ নিল bangla.aajtak.in।
'বাংলা বাঁচাও যাত্রা' CPIM-এর হাল ফেরাতে পারবে?
সিপিআইএমের নেতা-নেত্রীদের দাবি, এই যাত্রা ভোটকে মাথায় রেখে করা হয়নি। বরং সাধারণ মানুষের কথা ভেবেই এই যাত্রা করা হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে বামনেত্রী দীপ্সিতা ধর বলেন, "এই রাজ্যে মন্দির মসজিদ নিয়ে যে রাজনীতি করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক, শ্রমজীবী মানুষের জন্য পরিসর করতেই আমরা এই বাংলা বাঁচাও যাত্রা করেছি। এবারের যাত্রায় আমরা বলেছি কম, মানুষের কথা শুনেছি বেশি।"
এই 'বাংলা বাঁচাও যাত্রা' ২০২৬ নির্বাচনে বামেদের ভোটবাক্স ভরাতে পারবে কিনা, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর ফুটেছে দীপ্সিতার গলায়। তাঁর দাবি, "যদি সঠিক ভাবে, ত্রুটিহীন ভাবে মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়, তবে বাংলা বাঁচাও যাত্রার প্রভাব ভোটে পড়বে কিনা, তা সকলে দেখতে পাবেন।"
তিনি জানান, "আমরা এই মুহূর্তে রাজনীতি থেকে সাম্প্রদায়িকতাকে দূরে সরাতে আগ্রহী। ধর্ম নিয়ে বাংলাদেশে যা হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গে যা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে কথা বলার লোকদের এককাট্টা করতে আমরা এখন আগ্রহী। সেই লক্ষ্যেই এই বাংলা বাঁচাও যাত্রা।"
অন্যদিকে, CPIM নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, "যারা একসময় মনে করেছিল বাংলায় বদল করেল লাভ হবে, তাঁরা এখন বুঝতে পারছেন ঠকে গিয়েছে। বর্তমানে চা-বাগানের মানুষের ইস্যু, নদী ভাঙনের ইস্যু, মতুয়াদের সমস্যার মতো বিষয়গুলি রাজনীতির মূল ফোকাস থেকে সরে যাচ্ছে। এগুলিকে বাঁচাতে হবে। সেই কারণেই বাংলা বাঁচাও যাত্রা। মানুষের মধ্যে থেকে আমরা খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। আমরা মানুষকে ভরসা করতে চাই।"
আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, "মানুষ তৃণমূলকে ভরসা করে ঠকে গিয়েছে। বিজেপিকে ভরসা দেখাতে গিয়ে তাঁরা ডবল ঠকে গিয়েছেন। বামপন্থা অথবা লালঝাণ্ডা ছাড়া বাংলার আর বিকল্প কই।"