
মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদ তৈরি ঘিরে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। হুমায়ুন কবীর কেন বাবরি মসজিদ তৈরি করলেন তা নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। হুমায়ুন কি ওয়েইসির সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়বেন কিনা, তা নিয়েও চলছে জোর আলোচনা। এরইমধ্যে মুখ খুললেন জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রতিষ্ঠাতা। কেন তিনি বাবরি মসজিদ তৈরি করলেন তাও স্পষ্ট করেছেন হুমায়ুন কবীর।
রবিবার সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হুমায়ুন কবীর বলেন, "৩০ বছর আগে বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের আদেশনামায় কোথাও বলা নেই যে, ভারতের অন্য কোনও জায়গায় বাবরি মসজিদ তৈরি করা যাবে না। এমনকি কোর্ট বাবরি মসজিদ তৈরির জন্য অন্য জায়গায় জমিও নির্ধারণ করে দিয়েছিল। যদিও ওই এলাকায় কোনও মুসলিম জনসংখ্যা না থাকায় মসজিদ তৈরি করা যায়নি। বাংলায় বর্তমানে ৩৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা রয়েছে। মুর্শিদাবাদে ৭২ শতাংশ। আমি বুঝতে পারছি না, মুর্শিদাবাদে যদি বাবরি মসজিদ তৈরি করি, তাহলে সমস্যা কোথায়..."
বাবরি মসজিদ নিয়ে বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি, আসন্ন নির্বাচন নিয়েও বার্তা দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর। তিনি জানান, নওশাদ সিদ্দিকী ও AIMIM-এর সঙ্গে জোট বেঁধে লড়বে জনতা উন্নয়ন পার্টি। আত্মবিশ্বাসের সুরে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার দাবি, "আমরা মুর্শিদাবাদে ১৭-২২ টি সিট জিতব, ১০-১২ টা সিট মালদায় জিতব। আর উত্তর দিনাজপুরে ৬-৯ টা সিট জিতব।"
অন্যদিকে, গতকাল কলকাতা থেকে বাবরি মসজিদ ও হুমায়ুনের নতুন দল নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিষেক বলেন, "কোথায় বাবরি মসজিদ তৈরি হচ্ছে। আমি তো দেখলাম কিছু ইট পড়ে রয়েছে। এখনও তো কিছু শুরু হয়নি। আগে মসজিদ তৈরি হোক...তারপর এটা নিয়ে কথা হবে। ঘোষণা নিয়ে কিছু বলা যায় না।" পাশাপাশি তিনি বলেন, যে কোনও ব্যক্তি মন্দির মসজিদ তৈরি করতেই পারেন। কিন্তু তাঁর উচিত রাজনীতি না করা।
হুমায়ুনকে কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, "যদি আপনিও মন্দির-মসজিদ নিয়েই রাজনীতি করেন। তাহলে আপনার ও বিজেপির মধ্য়ে কী পার্থক্য রইল? বিজেপিও মন্দির বানানোর রাজনীতি করছে, আপনিও মসজিদ বানানোর রাজনীতি করছেন। তাহলে আর পার্থক্য কী রইল? ২০১৯ সালে আপনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তখন আপনার বাবরি মসজিদ ভাঙার বিষয়টি মনে ছিল না?"