
খোদ BJP নেতা অর্জুন সিংকে পাশে বসিয়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন ব্যারাকপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কাউন্সিলর শ্রাবণী কাশ্যপী। বললেন, 'তৃণমূলে আমরা যে ভাবে দলীয় স্তরে লাঞ্ছিত হয়েছি তা সহ্য করার মতো নয়।'
শ্রাবণী অবশ্য একা নন, স্ত্রীর সঙ্গে দলবদল করেছেন স্বামী মৃন্ময় কাশ্যপীও। তিনি আবার রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ছায়াসঙ্গী হিসেবেই পরিচিত। রবিবার তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছিলেন BJP নেতা অর্জুন সিং। প্রাক্তন সাংসদ বলেন, 'তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমি এঁদের মন্তব্যগুলি শুনেছি। সেই তাগিদেই এখানে এসেছি। ওঁদের বলেছি তৃণমূলে থেকে তৃণমূলের বিরোধিতা করা যায় না। আমি তাই ওঁদের BJP-তে যোগ দিতে বলেছি। এবার ওঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন, এটা ওঁদের ব্যক্তিগত বিষয়।'
সোজাসাপ্টা মন্তব্য করেছেন কাশ্যপী দম্পতিও। তাঁদের BJP-তে যোগদান এখন যে কেবলমাত্র সময়ের অপেক্ষা, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। কাউন্সিলর শ্রাবণী কাশ্যপী সংবাদমাধ্যমের সামনে অর্জুন সিংয়ের পাশে বসে বলেন, 'আমরা ঠিক করেছি ওঁর সান্নিধ্যে আমরা BJP-তে যোগদান করব। আমরা এখানে অপমানিত। আমি একজন কাউন্সিলর কিন্তু দলে আমার কোনও যোগ্য সম্মান নেই।' পাশাপাশি কাউন্সিলরের স্বামী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের একদা ছায়াসঙ্গী মৃন্ময় কাশ্যপী বলেন, 'চোরের ছায়াসঙ্গী কি কেউ থাকতে চায়? রাজনৈতিক কারণে একটা সময়ে ছিলাম। উনি খাদ্যমন্ত্রী হয়ে গরিব মানুষের চাল চুরি করেছেন। মানুষ লিস্ট বানাচ্ছে, কোন তৃণমূল নেতা কার থেকে কত টাকা নিয়েছেন।'
অর্জুন সিং জানিয়েছেন, পৌষ মাস পার করলেই দলে যোগ দেবেস কাশ্যপী দম্পতি। তবে তাঁরা একা নন, 'লাইনে অনেকেই রয়েছেন' বলে দাবি করেছেন ব্যারাকপুরের প্রাক্তন এই সাংসদ।
প্রসঙ্গত, সোমবারই নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামের কর্মিসভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, 'দলে অনেক কাউন্সিলর রয়েছে যাঁরা কাজ করছেন না কেবল দলের নিন্দা করছেন।' খবর পেলে তিনি যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলেও উল্লে করেছিলেন। এরপরই ব্যারাকপুরের এই কাউন্সিলরের দলবদলের খবর কার্যত মমতার মন্তব্যে সিলমোহর ফেলল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।