Advertisement

Osman Hadi : ওসমান-খুনে ২ প্রধান অভিযুক্ত ভারতে পালিয়ে গেছে, দাবি বাংলাদেশ পুলিশের

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম জানান, হাদি খুনে অভিযুক্ত ফয়জল করিম মাসুদ এবং আলমগির শেখ হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয়দের সহায়তায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ পালায়

ভারতে আশ্রয় নিয়েছে খুনে ২ অভিযুক্ত? ভারতে আশ্রয় নিয়েছে খুনে ২ অভিযুক্ত?
Aajtak Bangla
  • ঢাকা ও কলকাতা ,
  • 28 Dec 2025,
  • अपडेटेड 1:41 PM IST

বাংলাদেশের ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদি খুনে অভিযুক্ত ২ জন পালিয়েছে ভারতে। দাবি করল ঢাকার মেট্রোপলিটন পুলিশ। তাদের দাবি, খুনের পর মেঘালয় সীমান্ত হয়েছে ভারতে প্রবেশ করে অভিযুক্তরা। বাংলাদেশের সংবাদ সংস্থা দ্য ডেইলি স্টার এই খবর প্রকাশ করেছে। 

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার এসএন নজরুল ইসলাম জানান, হাদি খুনে অভিযুক্ত ফয়জল করিম মাসুদ এবং আলমগির শেখ হত্যাকাণ্ডের পর স্থানীয়দের সহায়তায় ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ পালায়।

তিনি বলেন, 'তদন্তের ভিত্তিতে আমাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, সন্দেহভাজনরা হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। তারা সীমান্ত অতিক্রম করার পর প্রথমে পূর্তি নামে এক ব্যক্তি তাদের নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরে সামি নামে এক ট্যাক্সিচালক দুষ্কৃতীদের মেঘালয়ের তুরা শহরে নিয়ে রাখে।'নজরুল ইসলাম আরও দাবি করেন, ২ সাহায্যকারীকে ইতিমধ্যেই ভারতীয় পুলিশ আটক করেছে। বলেন, 'অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং প্রত্যর্পণ নিশ্চিত করার জন্য আমরা অফিশিয়ালি ও আনঅফিশিয়ালি ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি।'

আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে নির্বাচন। সেই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা ওসমান হাদি। তবে কয়েকদিন আগে ঢাকায় প্রকাশ্যে তাঁকে খুন করা হয়। ঘটনার পর থেকে ব্যাপক উত্তেজনা সেই দেশে। ফের নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে। 

হাদি কট্টর আওয়ামি লিগ বিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। গত বছর বাংলাদেশে সহিংস জুলাই আন্দোলন হয়েছিল, তাতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। 

হাদির খুনিরা কোথায় পালিয়েছে তা প্রাথমিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। সেই সময় অনেকে দাবি করেছিলেন, অভিযুক্তরা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তবে ঢাকা পুলিশ সেই দাবি তখন নাকচ করেছিল। তাদের তরফে সাফ জানানো হয়েছিল, এমন কোনও প্রমাণ তাদের হাতে আসেনি। তবে এখন সেই দাবিকেই মান্যতা দেওয়া হল অন্তর্বতীকালীন সরকারের পুলিশের তরফে। যদিও ভারতের তরফে এর কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। 

Advertisement

প্রসঙ্গত, হাদির মৃত্যুর পর বাংলাদেশে হিন্দুদের উপরও অত্যাচার বেড়েছে। একাধিক বাড়িতে হামলা চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এমনকী ২ জন খুনও হয়েছেন। প্রথম জন দীপু চন্দ্র দাস। ওই শ্রমিককে বাংলাদেশের মৌলবাদীদের একাংশ জ্যান্ত জ্বালিয়ে খুন করে। তারও কয়েকদিন পরে আরও এক হিন্দু যুবক সম্রাটকেও গণপিটুনিতে হত্যা করা হয়। 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement