Advertisement

Attack on Hindus: মৌলবাদের উল্লাসে জ্বলছে বাংলাদেশ, আক্রান্ত হিন্দুরাও, কত হামলা? বিবৃতি মোদী সরকারের

গত বছরের ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে ২৩ জন হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে এবং কমপক্ষে ১৫২টি হিন্দু মন্দিরে হামলা করা হয়েছে। শুক্রবার সরকার সংসদে জানিয়েছে যে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার বিষয়টি সরকার লক্ষ্য করেছে। লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং এই তথ্য জানিয়েছেন।

মৌলবাদের উল্লাসে জ্বলছে বাংলাদেশমৌলবাদের উল্লাসে জ্বলছে বাংলাদেশ
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 08 Feb 2025,
  • अपडेटेड 9:36 AM IST

গত বছরের ৫ অগাস্ট থেকে বাংলাদেশে ২৩ জন হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছে এবং কমপক্ষে ১৫২টি হিন্দু মন্দিরে হামলা করা হয়েছে। শুক্রবার সরকার সংসদে জানিয়েছে যে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার বিষয়টি সরকার লক্ষ্য করেছে। লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং এই তথ্য জানিয়েছেন।

৭৬টি ঘটনা
কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, গত দুই মাসে (২৬ নভেম্বর, ২০২৪ থেকে ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫ পর্যন্ত) বাংলাদেশে হিন্দুদের বিরুদ্ধে ৭৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। অগাস্ট থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বাংলাদেশে ২৩ জন হিন্দুর মৃত্যুর এবং হিন্দু মন্দিরে ১৫২টি হামলার ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে। সিং বলেন, বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে জা জানান হয়েছে। ৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বিদেশ  সচিবের বাংলাদেশ সফরের সময় হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার বিষয়ে ভারতের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সরকার কী করেছে?
১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ তারিখে, বাংলাদেশ সরকার এক সংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা করে যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার সঙ্গে  সম্পর্কিত ৮৮টি মামলায় ৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে পুলিশ তদন্তে ১,২৫৪টি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং পুনর্ব্যক্ত করেন যে, সংখ্যালঘুসহ বাংলাদেশের সকল নাগরিকের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের। ৫ অগাস্ট, রাজনৈতিক অস্থিরতার পর বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে আসেন। নতুন সরকারের নির্যাতনের ভয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হাজার হাজার সদস্য ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছে। গত বছরের অগাস্টে নোবেল বিজয়ী মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পর থেকে বাংলাদেশ সীমান্তের বিভিন্ন স্থানে বিরোধ দেখা দিয়েছে। বেশ কয়েকটি বিষয়ে মতবিরোধের মধ্যে বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়েও ভারত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এদিকে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। বিগত কয়েকদিন ধরে প্রতিবেশী দেশটির  জায়গায় জায়গায় অরাজকতা ছড়িয়েছে। হাসিনা-বিরোধিতার নামে লুটপাট, ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। শেখ হাসিনার বাবা তথা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপ্রদর্শক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভেঙে গুঁড়িয়ে ফেলা হয়েছে। ঢাকার বুকে সেই ঘটনা ঘটলেও সরকারের তরফ থেকে তা আটকানোর কোনও প্রচেষ্টা করা হয়নি। তবে এই তাণ্ডব শুরুর দু'দিন পরে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস আহ্বান জানিয়েছেন যাতে শেখ হাসিনার পরিবার বা আওয়ামি লিগের নেতার বাড়িতে যাতে হামলা না চালানো হয়।  ধানমন্ডি ৩২ নম্বরসহ বাংলাদেশের  বিভিন্ন জেলায় তিন দিন ধরে বিভিন্ন  বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানুষের মধ্যে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও ভীতির সঞ্চার হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে দুই দিনে তিনটি বিবৃতি দিতে হয়েছে।

Advertisement

বাংলা দেশে এমন একটা পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসের মাথায়, যখন দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমও জনগণকে শান্ত হওয়ার জন্য এবং সরকারকে কাজ করতে দিতে আহ্বান জানিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তবে ঘটনা পুরোপুরি থামানো যায়নি।

Read more!
Advertisement
Advertisement