অবশেষে জামিন পেলেন সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিচারপতি আতোয়ার রহমান খান ও আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে তাকে জামিন দেওয়া হয়।
বাংলাদেশে অশান্তি, হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের মাঝেই গ্রেফতার করা হয়েছিল চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। দেশদ্রোহীতার অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিল হিন্দুরা। চিন্ময়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ রয়েছে। তবে বর্তমানে তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।
গত বছর অগাস্টে বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতন ও মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পরই বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপরে অত্যাচার শুরু হয়েছিল। হিন্দুদের বাড়িঘর-মন্দির ভাঙচুর, আগুন লাগিয়ে দেওয়া, এমনকী হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছিল নির্বিচারে। এর প্রতিবাদেই গর্জে উঠেছিলেন সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। এরপরই দেশদ্রোহিতার অভিযোগে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। চিন্ময় কৃষ্ণের গ্রেফতারিকে কেন্দ্র করে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। ২৭ নভেম্বর চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রাম আদালতে পেশ করার সময়, আদালত চত্বরে সংঘর্ষ বাঁধে, এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়।
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন প্রশ্নে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) বলে এদিন ঘোষণা করেহাইকোর্ট। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আ বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। মামলায় জামিন চেয়ে চিন্ময় দাসের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দিয়েছিলেন। আবেদনকারীকে (চিন্ময়) কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল তারিখ রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি নিয়ে রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। এরআগে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। পরে গত ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন চিন্ময় দাস।