ঢাকার রাজনীতিতে এখন ঘোর অস্থিরতা! ছাত্রনেতাদের সঙ্গে সেনাপ্রধানের গোপন বৈঠক, ফাঁস হওয়া তথ্য, তুমুল বিক্ষোভ – সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ জটিল। শহরের রাজপথে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি দেখে অনেকেই বলছেন, "এবার বড় কিছু হতে চলেছে!"
গোপন বৈঠকের চমকপ্রদ তথ্য
১১ মার্চ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ঢাকার সেনানিবাসে গোপনে দেখা করেছেন ২৭ বছর বয়সী ছাত্রনেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ও সরজিস আলমের সঙ্গে। নেত্র নিউজ নামে সুইডেনভিত্তিক এক সংবাদমাধ্যম এই তথ্য ফাঁস করেছে।
হাসনাত নিজেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, সেনাপ্রধান তাঁকে বলেছেন 'আওয়ামী লীগের রিফাইন্ড ভার্সন' রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনতে হবে। তার বদলে তাঁকে রাজনৈতিক সুবিধা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। হাসনাত সরাসরি এই প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে বলেছেন, "বাংলাদেশে সেনা হস্তক্ষেপ চলবে না!"
ঢাকা জুড়ে বিক্ষোভ – 'আওয়ামী লীগকে ফেরানো যাবে না!'
এই ঘটনা সামনে আসতেই ছাত্র সংগঠন ও রাজনৈতিক দলগুলো রাস্তায় নেমেছে।
বিক্ষোভে যারা নেমেছে:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা
ইনকিলাব মঞ্চ
বাংলাদেশ স্টুডেন্ট রাইটস কাউন্সিল
জামাত-ই-ইসলামীসহ আরও কয়েকটি দল
এরা সবাই আওয়ামী লীগের ফিরে আসার চক্রান্তের বিরুদ্ধে সোচ্চার। কেউ কেউ তো বলেই দিচ্ছে , 'আওয়ামী লীগের ফিরে আসা শুধু আমাদের লাশের ওপর দিয়েই সম্ভব'
ঢাকার রাস্তায় সেনাবাহিনী: বড় কিছু হতে চলেছে?
রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সেনাবাহিনী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।
যেসব জায়গায় সেনাবাহিনী মোতায়েন হয়েছে:
বিজয় সরণি
গুলশান
শান্তিনগর
প্রেস ক্লাব
রামপুরা
মিরপুর
এমনকী বেশ কিছু এলাকায় ট্যাঙ্কও মোতায়েন করা হয়েছে!
ছাত্রনেতাদের মধ্যেই ভাঙন!
এই গোপন বৈঠক ফাঁস হওয়ায় NCP পার্টির ভেতরেই ভাঙনের ইঙ্গিত মিলছে।
NCP-এর প্রধান সমন্বয়কারী নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী বলেছেন, "এত বড় বৈঠকের কথা প্রকাশ্যে আনা ঠিক হয়নি।"
NCP-এর উত্তরাঞ্চলীয় প্রধান সরজিস আলম বলছেন, "সেনাপ্রধান আমাদের ওপর কোনো চাপ দেয়নি, বরং বলেছেন, আওয়ামী লীগের রিফাইন্ড ভার্সন না আনলে দেশ অস্থিরতায় পড়বে।"
বাংলাদেশের রাজনীতিতে কী হতে চলেছে? ঢাকার পরিস্থিতি দিন দিন জটিল হয়ে উঠছে। সেনাবাহিনী কি সত্যিই কোনও বড় সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে? আওয়ামী লীগ কি নতুন রূপে ফিরে আসবে?