Advertisement

Bangladesh News: শেখ মুজিব 'বীর মুক্তিযোদ্ধা', তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে ইউনূস সরকার

বাংলাদেশ সরকার এক অধ্যাদেশে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দটির সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করেছে। এই পরিবর্তনের ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ মুক্তিযুদ্ধকালীন চার জাতীয় নেতার মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে, এমন একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল এবং তাদের পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণের বিষয়টি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

 স্বীকৃতি বাতিলের দাবি ওড়াল ইউনূস সরকার স্বীকৃতি বাতিলের দাবি ওড়াল ইউনূস সরকার
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 04 Jun 2025,
  • अपडेटेड 3:33 PM IST

বাংলাদেশ সরকার এক অধ্যাদেশে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ শব্দটির সংজ্ঞা নতুন করে নির্ধারণ করেছে। এই পরিবর্তনের ফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ মুক্তিযুদ্ধকালীন চার জাতীয় নেতার মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে, এমন একটি খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় নেতাদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল এবং তাদের পরিচয় ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণের বিষয়টি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক ই আজম।

বুধবার  সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। এর আগে  মঙ্গলবার রাতে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামানসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী চারশোর বেশি  রাজনীতিবিদের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি বাতিল করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়।

উপদেষ্টা জানান, অধ্যাদেশে মুজিবনগর সরকারকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। তবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ মুজিবনগর সরকারের অন্যদের মুক্তিযোদ্ধার মর্যাদা বাতিলের বিষয়ে যা বলা হচ্ছে, তা সঠিক নয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের সদস্যরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। অন্যদিকে মুজিবনগর সরকার গঠনে যাঁরা সহযোগিতা করেছেন, তাঁরা হবেন ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’।

অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকের  উপদেষ্টা ফারুক ই আজমের বক্তব্য যারা মুক্তিযুদ্ধ না করেও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় আছেন তাদের তালিকা থেকে সরে যাওয়ার সুযোগ দিতে একটি ইনডেমনিটি দেওয়ার চিন্তা করছে সরকার। তাঁর বক্তব্য, 'মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পুনর্গঠন হচ্ছে। যাচাই বাছাইতে যখন যাবো তখন ইনডেমনিটি দেয়ার ইচ্ছে আছে। যারা মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধার তালিকাভুক্ত হয়েছেন তারা যেন চলে যান।' উপদেষ্টা বলেন, 'ভুয়ো মুক্তিযোদ্ধাদের  সঠিক পরিসংখ্যান না নিয়েই সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু আমরা সেভাবে যেতে চাই না। আমরা নিয়ম নিষ্ঠ আইন বিধি অনুসারে যাচাই বাছাই করে বলবো। সেভাবেই কার্যপদ্ধতি ঠিক করছি।'

Advertisement

প্রসঙ্গত, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদকে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে নির্ধারণ করার খবর সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। এর পরেই  বুধবার সকালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রকের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম  সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-সহ সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, মো. মনসুর আলি ও এএইচএম কামরুজ্জামানের মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি থাকবে। তাঁরা ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন।

Read more!
Advertisement
Advertisement