Advertisement

Bangladesh News: ভারতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যাবেন না, বাংলাদেশে ইউনূস সরকারের অ্যাডভাইজারি, কেন?

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এই মুহূর্তে ভারত যাত্রা থেকে বিরত থাকুন। একটি অ্যাডভাইসরি জারি করে নাগরিকদের এমনই পরামর্শ দিয়েছে বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতে এলে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখছে পড়শি দেশ।

Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 10 Jun 2025,
  • अपडेटेड 10:20 AM IST
  • জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশিদের ভারতে না আসার পরামর্শ
  • করোনার সংক্রামক দেশ হিসেবে উল্লেখ ভারতকে
  • কী কী অ্যাডভাইসরি দেওয়া হল বাংলাদেশিদের?

বিশ্বজুড়ে আবার মাথাচাড়া দিয়েছে করোনা। বহু দেশই বিদেশ থেকে আসা নাগরিকদের স্ক্রিনিং, কোভিড টেস্টে জোর দিচ্ছে। এদিকে বাংলাদেশ আচমকাই সে দেশের নাগরিকদের ভারতে যাত্রা না করার পরামর্শ দিয়েছে। পড়শি দেশের প্রশাসনের বক্তব্য, ভারতে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। ফলে অত্যন্ত জরুরি প্রয়োজন না থাকলে সেখানে যাওয়ার দরকার নেই। বাংলাদেশের এহেন অ্যাডভাইসরি প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত উপহাস করছেন এ দেশের মানুষ। কারণ চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজন থেকে শুরু করে রোজগারের চেষ্টা, নানা কারণে বহু বাংলাদেশি নাগরিক প্রতিদিন ভারতে আসেন। তাছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার এই নয়া ভ্যারিয়েন্টকে মহামারী হিসেবে চিহ্নিত করেনি। আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ করারও কোনও পরামর্শ দেয়নি। বরং এটি সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা হিসেবেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। সেখানে বাংলাদেশ আগ বাড়িয়ে ভারতকে সংক্রমণের কেন্দ্র হিসেবে দেখিয়ে নাগরিকদের উপর এহেন অ্যাডভাইসরি জারি করায় উপহাসেরই পাত্র হচ্ছে বলে ধারণা নানা মহলের।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে সতর্কবার্তা দিয়ে জানানো হয়েছে, করোনা মোকাবিলায় দেশের সমস্ত বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং করা হবে। আন্তর্জাতিক বিমানযাত্রীদের মাধ্যমে দেশে কোনও মতেই যাতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে, সে কারণে ভারত সহ অন্যান্য সংক্রামক দেশে প্রয়োজন ছাড়া না যাওয়াই বাহুল্য। 

গত সপ্তাহে বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, পড়শি দেশে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাসের ওমিক্রন JN.1 ভ্যারিয়েন্টের XFG প্রজাতি। 

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে জারি করা অ্যাডভাইসরি-

> ৭ বার প্রয়োজনমতো ২৩ সেকেন্ড করে হাত ধুতে হবে।
> নাক-মুখ ঢাকা মাস্ক ব্যবহা করুন।
> আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে ৩ ফুট দূরে থাকুন।
> অপরিষ্কার হাতে চোখ-নাক-মুখ স্পর্শ করবেন না। 
> হাঁচি-কাশির সময়ে কাপড়, টিস্যু দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন। 

আর কী কী নির্দেশিকা?

> জল, স্থল ও নৌপথে আন্তর্জাতিক যাত্রীদের হেলথ স্ক্রিনিং জোরদার করা।
> দেশের পয়েন্টস অব এন্ট্রিতে থার্মাল স্ক্যানার/ডিজিটাল থার্মোমিটার রাখতে হবে।
> স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, গ্লাভস এবং পিপিই মজুত রাখা।
> ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য রোগ প্রতিরোধ নির্দেশিকার প্রচার।
> জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভারত ও অন্যান্য সংক্রামক দেশে যাত্রা থেকে বিরত থাকুন। 

Advertisement

ভারত যাত্রা না করার পরামর্শ দেওয়া বাংলাদেশের এই নির্দেশিকা নিয়েই চলছে জোর চর্চা। 

 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement