Advertisement

Bangladesh : বাংলাদেশের স্কুলে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে ১৯, আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু; কীভাবে ভাঙল F-7?

ঢাকার স্কুলে বাংলাদেশ বায়ুসেনার বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত বেড়ে ১৬। আহত হয়েছেন ৭০ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে জানা যায়, পৃথক ৬ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহতদের।

Bangladesh Air Force jet crashBangladesh Air Force jet crash
Aajtak Bangla
  • ঢাকা ,
  • 21 Jul 2025,
  • अपडेटेड 5:32 PM IST
  • ঢাকার স্কুলে বাংলাদেশ বায়ুসেনার বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত বেড়ে ১৬
  • আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু

ঢাকার স্কুলে বাংলাদেশ বায়ুসেনার বিমান ভেঙে পড়ার ঘটনায় মৃত বেড়ে ১৯। আহত হয়েছেন ৭০ জন। তাঁদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  বাংলাদেশ প্রশাসনের তরফে জানা যায়, পৃথক ৬ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে আহতদের। যদিও বাংলাদশের 'প্রথম আলো' সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা ১৯। 

এদিকে এই মর্মান্তিক ঘটনার জেরে বাংলাদেশে মঙ্গলবার একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের তরফে। সেই দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারি, বেসরকারি ভবনে  জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে। আহত ও নিহতদের জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন হবে দেশজুড়ে। 

সোমবার দুপুর আনুমানিক ১:৩০ টা। রাজধানী ঢাকার উত্তরা এলাকায় একটি স্কুলে ক্লাস চলছিল। ছুটির পর বাচ্চাদের নেওয়ার জন্য স্কুল গেটে অপেক্ষা করছিলেন অভিভাবকরা। তখনই বিস্ফোরণের বিকট শব্দ পাওয়া যায়। তাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। সাধারণ মানুষ ছোটাছুটি শুরু করে দেয়। 

পরে জানা যায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর F-7 বিমানটি উত্তরার ওই স্কুলের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। তখন দুর্ঘটনা। সেই সময় স্কুল চলছিল। ভিতরে অনেক ছাত্র-ছাত্রী ছিল। 

এই ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্কুলের দোতলার কাছে বিমানটি ভেঙে পড়ে। তখন স্কুল ছুটি হয়েছে সবে। অনেকে ক্লাসরুম থেকে বেরোতে শুরু করেছে। 'প্রথম আলো' জানিয়েছে, যারা আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি তাদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী। তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। 

বাংলাদেশে চলছে উদ্ধারকার্য

প্রাথমিক তথ্য অনুসারে, বিমানটি খুব নিচু দিয়ে উড়ছিল। ভারসাম্য হারিয়ে হঠাৎ নিচের দিকে নামতে শুরু করে। প্রথমে তা নারকেল গাছে ধাক্কা খায়। তারপর স্কুল ভবনে ভেঙে পড়ে। বিমান ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিকট বিস্ফোরণ হয়। প্রথমে জানা যায়, এই ঘটনায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে পরে খবর মেলে, কমপক্ষে ১৯ জনের মারা গিয়েছেন। আহতের সংখ্যা প্রায় ৭০। 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভয়ানকভাবে বিমানটি ভেঙে পড়ে। তাতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছিল। পৃথক পৃথক হাসপাতালে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়। 

Advertisement

এদিকে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের দফতরের তরফে এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে ট্যুইট করা হয়। সেখানে লেখা হয়, 'রাজধানীর দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক‍্যাম্পাসে আজ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় আমি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করছি। এই দুর্ঘটনায় বিমানসেনা ও মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষক-কর্মচারীসহ অন্যান্যদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। জাতির জন্য এটি একটি গভীর বেদনার ক্ষণ। আমি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং সংশ্লিষ্ট হাসপাতালসহ সকল কর্তৃপক্ষকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবেলার নির্দেশ প্রদান করছি। সরকার দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে এবং সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করবে।'
 


Read more!
Advertisement
Advertisement