Advertisement

Dhaka Crime: হঠাত্‍ চারদিকে ধোঁয়া, ঢাকার আদালত থেকেই উধাও ব্লগার অভিজিত্‍ রায়ের খুনিরা

ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় বাংলাদেশের আদালত এই দুই জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। রবিবার এই জঙ্গিদের হাজির করা হয়, সেই সময় ঢাকার আদালতে ঘটনাটি ঘটে। আদালত থেকে জঙ্গিদের পালানোর পুরো ঘটনাটি সিনেমার মতোই।

ঢাকার আদালত থেকে পলাতক দুই জঙ্গি(ফাইল ছবি)
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 21 Nov 2022,
  • अपडेटेड 10:30 AM IST
  • ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যা মামলায় বাংলাদেশের আদালত এই দুই জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে
  • রবিবার এই জঙ্গিদের হাজির করা হয়
  • সেই সময় ঢাকার আদালতে ঘটনাটি ঘটে

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গি পালিয়ে গেছে। বাংলাদেশি-আমেরিকান ব্লগার অভিজিৎ রায় ও তার প্রকাশককে হত্যার দায়ে এই দুই জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আদালত থেকে জঙ্গিদের পালানোর পুরো ঘটনাটি সিনেমার মতোই।

রবিবার এই দুই জঙ্গিকে ঢাকার আদালতে তোলা হয়। এ সময় কয়েকজন মোটরসাইকেল আরোহী আসেন, এই মোটরসাইকেল চালকরা দুই বন্দিকে দেখা মাত্রই একটি কেমিক্যাল স্প্রে করে, সঙ্গে সঙ্গে সেখানে ধোঁয়ার মেঘ তৈরি হয়। জঙ্গি ও তাদের উদ্ধার করতে আসা লোকজন এই সুযোগের অপেক্ষায় ছিল, তারা উভয় জঙ্গিকে মোটরসাইকেলে বসিয়ে ঢাকার সরু রাস্তা দিয়ে পালিয়ে যায়।

কেমিক্যাল স্প্রে করে পুলিশের সামনে ধোঁয়া 
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল বাংলা টিমের সদস্য জঙ্গি মইনুল হাসান ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে আদালতে আনা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা ও আদালতের কর্মকর্তারা। আদালতে হাজির করার পর তাদের কারাগারে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা জঙ্গিদের  রক্ষাকারী পুলিশ সদস্যদের ওপর রাসায়নিক ছিটিয়ে দেয়। এর পর সেই এল এলাকা  ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।

স্মোক স্ক্রিন কী? 
যুদ্ধের সময় সেনারা স্মোক স্ক্রিন ব্যবহার করে। যুদ্ধের সময় সেনাবাহিনী তার সৈন্য, জাহাজ, ট্যাঙ্ককে  আড়াল করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে ধোঁয়ার মেঘ তৈরি করে। একে বলা হয় স্মোক স্ক্রিন।

পুলিশ কিছুই দেখতে পায়নি 
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এই রাসায়নিকের কারণে পুলিশ সদস্যদের অবস্থা খুবই খারাপ হয়, তারা কিছুই দেখতে পাননি। এর সুযোগ নিয়ে মোটরসাইকেল আরোহীরা জঙ্গিদের নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে আদালত। আদালতের একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে বন্দিদের কেবল হাতকড়া পরানো হয়েছিল। তাদের পায়ে বেড়ি ছিল না। যদিও এই ধরনের বেড়ি সাধারণত বিপজ্জনক অপরাধী বা জঙ্গিদের পরানো হয়। বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে দেখানো সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হেলমেট পরা দুই বাইক আরোহীকে ঢাকা মহানগর জজ আদালত কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে যেতে। আর  একজন ব্যক্তি তাদের অনুসরণ করছে।

Advertisement

পুলিশ অভিযান শুরু করেছে
 এই জঙ্গিদের আবার ধরতে বড় অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সারা দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। নিরাপত্তার এই ঘাটতি কীভাবে হল তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দেশের সকল প্রস্থান ও প্রবেশ পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং এজেন্সিগুলোকে সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। জঙ্গিদের সম্পর্কে তথ্য দিলে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ। বাংলাদেশের চ্যানেলগুলোতে দেখানো সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, হেলমেট পরা দুই বাইক আরোহীকে ঢাকা মহানগর জজ আদালত কমপ্লেক্সের সামনে দিয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। যখন একজন ব্যক্তি তাদের অনুসরণ করছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিজিৎ রায় ধর্মীয় মৌলবাদ নিয়ে তীক্ষ্ণ মন্তব্য করতেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে, ABT-এর সাথে জড়িত মৌলবাদীরা তাকে হত্যা করে যখন তিনি একটি বইমেলায় যোগ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হয়ে আসছিলেন। এ হামলায় তার স্ত্রী আহত হন। একই বছরের নভেম্বরে তার প্রকাশক দীপনকেও হত্যা করে জঙ্গিরা। এই ঘটনায় ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ আদালত পাঁচ জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং দীপন হত্যায় আট জঙ্গিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়।

 
 

 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement