সম্প্রতি বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কার নেওয়ার পর তাতে লাথি মেরে আলোচনার রয়েছেন বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ। গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে বাংলাদেশের জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল মিলনায়তনে পুরস্কারে লাথি মারার সেই ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই প্রতিযোগিতায় ১১ জন বিচারক প্যানেলের ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রুপো জেতেন জাহিদ হাসান শুভ। প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করায় তাকে দেওয়া হয় একটা ব্লেন্ডার! এর আগে তিনি টানা চারবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন বডি বিল্ডিংয়ে। পঞ্চমবারে এসে হন দ্বিতীয়। এরপরই নিজেকে আর সামলাতে পারেননি শুভ।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে রীতিমতো। বাংলাদেশ শরীর গঠন ফেডারেশন এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জরুরি সভা আয়োজন করে। সেই সভায় জাহিদ হাসান শুভকে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফেডারেশন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমনটিই জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত গত শুক্রবার রাতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শেখ কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশ বডিবিল্ডিং ফেডারেশনের প্রতিযোগিতায় ১১ সদস্যের বিচারক প্যানেলের ঘোষিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রুপো জেতেন জাহিদ। তবে বিচারকদের রায়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। আর মঞ্চেই সেই ক্ষোভ প্রকাশ করে ফেলেন এই বডি বিল্ডার। মঞ্চ থেকে নেমেই পুরস্কারে লাথি মেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
ঘটনার পর থেকেই শুভকে নিয়ে এখন উত্তাল বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। আয়োজকদের বিরুদ্ধে ‘দুর্নীতি’র অভিযোগ এনেছেন শুভ। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জাহিদ হাসান শুভ জানিয়েছেন এই ঘটনায় ক্ষমা চাইবেন না তিনি। শুভর বক্তব্য, ‘চোরদের কাছে ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা। জুতা পেটা করা উচিত তাদের। ওরা আমাকে কী ব্যান করবে আমি এই ফেডারেশনকে বয়কট করছি।’
শরীর গঠনে শ্রম, ত্যাগ আর খরচ হয় বিপুল অর্থ। বিনিময়ে পাওয়া যায় যৎসামান্য। বিচারকরা তার সঙ্গে অন্যায় করেছে দাবি করছেন জাহিদ হাসান শুভ। এই নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছেও বিচার চাইলেন তিনি। ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি দাবি জানাবো যে এমন ‘ভুয়া’ ফেডারেশন যেন আর না থাকে।’
বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গণে বিচারকদের বিচারকার্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা নতুন নয়। তবে জাহিদ পুরস্কারে লাথি মেরে যে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করেছেন, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন। যার জন্য ভক্তদের কাছে অকপটে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। আলোচিত এই বডিবিল্ডার বলেন, ‘আমার এমন আচরণে সাধারণ মানুষ যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন, তবে তাদের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’ আজীবন নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন বলে জানান জাহিদ।