Advertisement

Bangladesh Election: ইউনূসের মুখে ফের 'ক্ষমতা হস্তান্তর' প্রসঙ্গ, বাংলাদেশে ভোটটা আদৌ হবে তো?

আদৌ কি ভোট হবে বাংলাদেশে? বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস বারংবার সাধারণ নির্বাচন করানোর কথা বলছেন। তবে মুখের কথা আর কাজের মধ্যে মিল পাচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। সোমবার ইউনূস দাবি করেন, ভোটে যে জিতবে, তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

 বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 26 Aug 2025,
  • अपडेटेड 9:20 AM IST

আদৌ কি ভোট হবে বাংলাদেশে? বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস বারংবার সাধারণ নির্বাচন করানোর কথা বলছেন। তবে মুখের কথা আর কাজের মধ্যে মিল পাচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। সোমবার ইউনূস দাবি করেন, ভোটে যে জিতবে, তার হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন।

ইউনূস এও বলেন, 'আমরা রাজনৈতিক ইতিহাসে আরেকটি পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত। দেশ এখন বেশ স্থিতিশীল। নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। তাই, আমরা ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন ঘোষণা করছি।' নির্বাচনের পর, বাংলাদেশের ক্ষমতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবর্তে একটি নির্বাচিত সরকার গ্রহণ করবে।

কক্সবাজারে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন 'স্টেকহোল্ডারস ডায়ালগ: টেকওয়েজ টু দ্য হাই-লেবেল কনফারেন্স অন রোহিঙ্গা সিচুয়েশন'-এ ভাষণ দেওয়ার সময় ইউনূস এই মন্তব্য করেন। বলেন, 'আমরা আমাদের রাজনৈতিক ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে আছি। এক বছর আগে, ভয়াবহ গণহত্যার মুখোমুখি হয়েছিলাম।' তারপর, ছাত্রদের নেতৃত্বে গণআন্দোলনের মাধ্যমে দেশকে ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছিল।' প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার শাসনের প্রসঙ্গ টেনে এ কথা বলেন।

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভোট
এই মাসের শুরুতেও মহম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে। এর পরে নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট হবে। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এরপর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়।

ভোটের নামে 'আইওয়াশ'?
ইউনূসের মুখে বারংবার নির্বাচনের কথা শোন গেলেও বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন আদৌ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মন্তব্য, নির্বাচন করানোর বার্তা পুরোটাই 'আইওয়াশ গেম'। 

সংবাদমাধ্যম বিবিসি-র খবর অনুযায়ী, জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের পদ্ধতি সহ একাধিক শর্ত দিয়ে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলা শুরু করে দিয়েছে জামাত ও এনসিপি। ওদিকে বিএনপি চাইছে, ফেব্রুয়ারিতেই ভোট হোক। সব মিলিয়ে সংশয় রয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতির অন্দরে কান পাতলে এটাও শোনা যাচ্ছে, শর্ত না মিটলে ভোট বর্জনের পথেও হাঁটতে পারে এনসিপি ও জামাত। জামাত ও এনসিপি-র নেতাদের বক্তব্য, বাংলাদেশের সংস্কার ও আওয়ামী লিগের নেতাদের বিচারের বিষয়টি এড়িয়ে কোনও রকমে একটি নির্বাচন করাতে চেষ্টা করছে ইউনূসের সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই NCP আসলে ইউনূসেরই মদতপুষ্ট একটি দল। 

Advertisement

ভোট বানচালের চেষ্টা
বস্তুত, এই দুই দলই এখন বিএনপি-কে রুখতে চাইছে। কারণ, হাসিনার আওয়ামী লিগের পরে যদি কোনও দলের জনসমর্থন থাকে বাংলাদেশে, তা হল খালেদা জিয়ার বিএনপি। ওদিকে এনসিপি একেবারেই নতুন দল। নির্বাচন হলে ইউনূসের গদিও চলে যাবে। সব মিলিয়ে এখন এরা টার্গেট করছে, কীভাবে ভোটটা বানচাল করা যায়। 

Read more!
Advertisement
Advertisement