Advertisement

Bangladesh: মুসলিম কট্টরপন্থীদের 'দখলে' বাংলাদেশ, স্কুলে নাচ-গান শেখানোও বন্ধ হচ্ছে?

বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে মৌলবাদী সংগঠনগুলি। ড. মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত, নৃত্য এবং বাদ্যযন্ত্র শেখানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিলে তার তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী, খলিফাত মজলিস এবং বাংলাদেশ খলিফাত আন্দোলনের মতো মৌলবাদী দলগুলি।

Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 17 Sep 2025,
  • अपडेटेड 11:54 AM IST
  • বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে মৌলবাদী সংগঠনগুলি।
  • ড. মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত, নৃত্য এবং বাদ্যযন্ত্র শেখানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিলে তার তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী, খলিফাত মজলিস এবং বাংলাদেশ খলিফাত আন্দোলনের মতো মৌলবাদী দলগুলি।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থাকেও নিজেদের নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে মৌলবাদী সংগঠনগুলি। ড. মহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত, নৃত্য এবং বাদ্যযন্ত্র শেখানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নিলে তার তীব্র বিরোধিতা শুরু করেছে জামায়াতে ইসলামী, খলিফাত মজলিস এবং বাংলাদেশ খলিফাত আন্দোলনের মতো মৌলবাদী দলগুলি।

এই সংগঠনগুলির দাবি, শিশুদের সঙ্গীত ও নৃত্য শেখানো ইসলামের পরিপন্থী এবং এর ফলে আগামী প্রজন্ম বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে। তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছে, যদি সঙ্গীত ও নৃত্য শিক্ষকের পরিবর্তে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ না করা হয়, তবে তারা আবারও রাস্তায় নামবে।

'পরবর্তী প্রজন্ম চরিত্রহীন হয়ে পড়বে'
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ রেজাউল করিম এক বিবৃতিতে বলেন, 'আমাদের শিশুদের নাচ ও সঙ্গীত শিখিয়ে কী শেখানো হবে? সঙ্গীত ও নৃত্য বাধ্যতামূলক করলে পরবর্তী প্রজন্ম চরিত্রহীন হয়ে পড়বে।' তাঁর দাবি, বাংলাদেশী মুসলমানরা স্কুলে ইসলামী শিক্ষা চায়, আর সেই ব্যবস্থাই করা উচিত সরকারের।

ধর্মীয় শিক্ষকের অভাবের অভিযোগ
মৌলবাদীরা বলছে, যদিও পাঠ্যক্রমে ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষা রাখা হয়েছে, তবুও বিশেষ ধর্মীয় শিক্ষক না থাকায় শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে সমাজে নৈতিক অবক্ষয় দেখা দিচ্ছে এবং শিশুরা তাদের ধর্মীয়-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।

'বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে'
তাদের মতে, সঙ্গীত ও নৃত্যকে কখনও বাধ্যতামূলক করা উচিত নয়। বরং ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে। না হলে বাংলাদেশের সমাজ ও শিক্ষা, উভয় ক্ষেত্রেই দেশ পিছিয়ে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মৌলবাদীরা।


 

Read more!
Advertisement
Advertisement