Advertisement

Bangladesh: চিন্ময় প্রভু গ্রেফতারে অশান্ত বাংলাদেশে আটক ৩০, আইনজীবী খুনে অভিযুক্ত ৬

চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির পর উত্তাল বাংলাদেশ। আইনজীবী হত্যা এবং নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে প্রায় ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী(সেনা ও পুলিশ)। সরকারি আইনজীবীকে হত্যার অভিযোগে ছয়জনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে পুলিশ।

বাংলাদেশে আইনজীবী হত্যায় অভিযুক্ত ৬।বাংলাদেশে আইনজীবী হত্যায় অভিযুক্ত ৬।
Aajtak Bangla
  • ঢাকা,
  • 28 Nov 2024,
  • अपडेटेड 12:00 PM IST

চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির পর উত্তাল বাংলাদেশ। আইনজীবী হত্যা এবং নিরাপত্তা কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে প্রায় ৩০ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী(সেনা ও পুলিশ)। সরকারি আইনজীবীকে হত্যার অভিযোগে ছয়জনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে পুলিশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার উৎখাতের পর থেকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা বাড়ছে। উগ্রপন্থীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানকে টার্গেট করছে।

পুলিশের এই পদক্ষেপে সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। চিন্ময় দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে সরব হয়েছে বাংলাদেশের ইস্কনও। তারা সেদেশে হিন্দুদের জন্য একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফেরানোর আহ্বান জানিয়েছে।

রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জামিন দিতে অস্বীকার করে আদালত। এরপরই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অশান্তি শুরু হয়। আর তাতেই নিহত হন সরকারি আইনজীবী সইফুল ইসলাম আলিফ। এই সংঘর্ষে প্রায় ১০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে সইফুল ইসলাম আলিফ গুরুতর আহত হন। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়।

তিনি বলেন, 'আমরা আইনজীবী সইফুল ইসলামের হত্যা এবং চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর (মঙ্গলবার) আদালতে উপস্থিতির সময় এবং পরে আইন প্রনয়নকারী নিরাপত্তা কর্মীদের উপর হামলায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে তদন্তে নেমেছি।'

পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, 'আটকদের প্রাথমিক তদন্তের পর বিচারের জন্য গ্রেফতার করা হবে। এই ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আরও সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হতে পারে।'

মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার কাজী মোহাম্মদ তারিক আজিজ বলেন, 'সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর সেনা ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজনদের আটক করা হয়েছে।'

হামলার নিন্দা অন্তর্বর্তী সরকারের

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস মঙ্গলবার আইনজীবী হত্যার নিন্দা করেছেন। জনগণকে শান্ত থাকার এবং কোনওরকম অপ্রীতিকর কার্যকলাপে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউনূসের প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি আধিকারিকদের এই হত্যার তদন্ত ও যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। ইউনূস বন্দর নগরীসহ সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশ দেন।

Advertisement

তিনি বলেন, 'অন্তর্বর্তী সরকার যেকোনও মূল্যে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে ও বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।'

জামিন নামঞ্জুরের পরেই শুরু হয় তাণ্ডব

সোমবার ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি একটি সমাবেশে যোগ দিতে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর চিন্ময় দাসের সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করে। 

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিচার্জ করে। এর ফলে ১০ পুলিশ কর্মীসহ অন্তত ৩৭ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে আদালতের আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন চিন্ময় দাসের আইনজীবীরা।

চিন্ময় দাস ইসকনের মেম্বার ছিলেন। সম্প্রতি তাঁকে বহিষ্কার করেছিল ইসকন। যদিও মঙ্গলবার তাঁর গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়েছে ইসকন বাংলাদেশ।

চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবি

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদও চিন্ময় দাসের গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাঁরা অবিলম্বে চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবি তুলেছে। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে, ইসকন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, 'আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই... আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় সনাতনীদের বিরুদ্ধে হামলার ঘটনার নিন্দা করি।' পাল্টা হামলারও নিন্দা করেন তিনি।

ইসকন বাংলাদেশ বলে, বাংলাদেশ সরকারের উচিত সনাতন সম্প্রদায়ের উপর হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা। দেশের সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টার আহ্বান জানিয়েছে ইসকন।

চিন্ময় দাসকে গ্রেফতার করায় ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক বিরোধ বেড়েছে। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক (MEA) মঙ্গলবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে। সেখানে চিন্ময় দাসের গ্রেফতার এবং জামিন প্রত্যাখ্যানের বিষয়ে 'গভীর উদ্বেগ' প্রকাশ করেছে। হিন্দু ও সমস্ত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

 

Read more!
Advertisement
Advertisement