ভয়াবহ অবস্থা বাংলাদেশে। রবিবার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসহযোগ কর্মসূচি চলছে। শেখ হাসিনা ও সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, এই দাবিতে সরব হয়েছে বাংলাদেশের আন্দোলনকারীরা। তা নিয়ে তুমুল অশান্তি শেখ হাসিনার দেশে। দফায় দফায় অশান্তি ছড়াচ্ছে। রক্তপাতের সাক্ষী বাংলাদেশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত ৩২ জন নিহত হয়েছেন। অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনতে কারফিউ ঘোষণা করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, আন্দোলনকারীদের দমন করতে রাস্তায় নেমেছে আওয়ামি লিগ সমর্থকরাও। দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। আর তাতেই ১৮ জন মারা যান। ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালেই। আন্দোলনকারীরা আগে থেকেই ঠিক করেছিলেন তাঁরা অসহযোগ আন্দোলন করবেন। সেই মতো দেশজুড়ে তা শুরু হয়। রাস্তায় নামেন আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকরাও। তাঁরাও পাল্টা আন্দোলন, স্লোগানিং করেন। তখনই দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
ঢাকা ট্রিবউনের প্রতিবেদনে প্রকাশ, 'কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যুর খবর এখনও সামনে এসেছে। অনেকের শারীরিক অবস্থা খুব শোচনীয়। এমনটা শোনা যাচ্ছে।' আবার প্রথম আলো দাবি করেছে, বাংলাদেশে কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়েছেন তিনি এই আন্দোলন সমর্থন করেন না। আন্দোলনের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে দেশবাসীকে অনুরোধ করেছেন। তাঁর মতে, যাঁরা আন্দোলন করছেন তাঁরা পড়ুয়া নয়, সন্ত্রাসবাদী। সাধারণ মানুষকেই এর বিরুদ্ধে লড়তে হবে।
সহিংস আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর বৈঠকও করেছেন শেখ হাসিনা। সেই বৈঠকে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
খবরে প্রকাশ, রংপুরে চার আওয়ামি লিগ সমর্থক নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১০০ জনেরও বেশি। বগুড়া ও মাগুরায় দুজন নিহত হয়েছেন। সিরাজগঞ্জে বিক্ষোভকারী ও আওয়ামি লিগ কর্মী ও পুলিশের মধ্যে ধারাবাহিক সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর। তাতে ৪ জন মারা গিয়েছেন।
বিক্ষোভের মধ্যে ঢাকার অধিকাংশ দোকানপাট ও মল বন্ধ রয়েছে। ঢাকার শাহবাগে শত শত শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবী আন্দোলনকে সমর্থন করছেন। তাঁরা রাস্তা অবরোধ করে রেখেছেন।
বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত ঢাকা মহানগরসহ সব শহর, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, শিল্পাঞ্চল, জেলা সদর ও উপজেলা সদরে কারফিউ জারি থাকবে।