বাংলাদেশে সাম্প্রতিক হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষোভ এবং প্রতিবাদের জোয়ার বইছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দেশের সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্যবস্তু করে বিভিন্ন হামলা ও মন্দির ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে চলেছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার রাস্তায় শয়ে শয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ "আমরা কারা? বাঙালি, বাঙালি" স্লোগান দিয়ে রাস্তায় নামেন। ভিডিওগুলোতে দেখা যাচ্ছে, বিক্ষোভকারীরা "হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ" সংকীর্তন করে শান্তি এবং নিরাপত্তার আবেদন জানাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশজুড়ে হিংসার আশঙ্কা ছিল, কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর এই আক্রমণগুলো জনগণের মধ্যে ব্যাপক উদ্বেগ এবং আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। শাহবাগ-সহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তারা পোস্টার বহন করছেন যেখানে সংখ্যালঘুদের "বাঁচানোর" দাবি উল্লেখ করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে, হাসিনার দল আওয়ামী লীগ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করে জানায়, "বাংলাদেশের হিন্দুরা ৫ আগস্ট থেকে তাদের ব্যক্তি, সম্পত্তি এবং উপাসনালয়ের উপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকার শাহবাগে রাস্তায় নেমেছে"। এই বিক্ষোভ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে প্রতিবাদকারীদের সংহতি জানাতে দেখা যাচ্ছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থির হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া প্রথম ভাষণে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূস হুঁশিয়ারি দেন যে যারা নৈরাজ্য ছড়াচ্ছে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পূর্ণ শক্তির মুখোমুখি হতে হবে।
ভারত সরকারও এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও তাদের অধিকার রক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে, যা দেশের স্থিতিশীলতা এবং সংহতির ওপর একটি বড় পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।